দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে টানা সাড়ে চারমাস ইলিশের মরশুমে তার জোগান একেবারে ছিল না। তাতে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাজার। যা পাওয়া গিয়েছিল, তা চাহিদার তুলনায় একেবারে যৎসামান্য। ফলে পাইকারি ও খুচরো বাজারে তার দাম ছিল আকাশছোঁয়া। সেই কারণে সাধ্যের মধ্যে থাকা ভোলা, লৈট্টা, কোকিল, আমুদি, রানিচিংড়ি, শিমূলকাটা ও শংকর মাছ নিয়েই সন্তুষ্ট ছিল মানুষ। বুলবুলের ধাক্কায় সেই সব মাছের জোগান কমে যাওয়াতে তার দাম চড়চড় করে বেড়ে গিয়েছে। ফলে বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে ক্রেতাদের। সেই সুযোগে রুই, কাতলা, বাটার দামও চড়া।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা হল, এর জোগান বেশি থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট মাছগুলির সব সময় দাম অনেক কম থাকে। সেই কারণে খুব স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি। শুধু তাই নয়, সামুদ্রিক এই সব মাছের আমদানি বেশি থাকার জন্য বাজারে দামের ক্ষেত্রে সব সময় সমতা থাকে। যা এখন নেই। কারণ, বুলবুলের জন্য বহু ট্রলার মাছ ধরতে যায়নি। ছোট ছোট ডিঙি নৌকাও যাচ্ছে না। ফলে দাম বেড়ে গিয়েছে। এখন বাজারে আমুদি, লৈট্টা, ভোলা, মাছের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে বাচ্চা ভোলার দাম পাইকারি বাজারে ছিল ৮ থেকে ১২ টাকা। এখন তা বিকোচ্ছে ১৪ থেকে ২০ টাকায়। খুচরো বাজারে ৫০এর উপর। লৈট্টা যার চাহিদা এখন গোটা রাজ্য জুড়ে। শুধু তাই নয়, এই মাছের চাহিদা এখন মুম্বইয়েও। এর চাহিদা বেশি থাকায়, নামখানা থেকে এই মাছ ধরার জন্য আলাদা ৭০টি বড় ট্রলার সাগরে যায়। তা সব বসে রয়েছে। সেই কারণে এর দাম পাইকারি বাজারে আগে ছিল ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খুচরো বাজারে তা ৭০ থেকে ১০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। মাঝারি ভোলা মিনিকিট মাছের দাম যেখানে ছিল ১৮ থেকে ২২ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। খুচরো বাজারে তার দাম ৭০ থেকে ৯০ টাকা। ৬ ইঞ্চি (ইলিশের মতো দেখতে) কোকিলা মাছের দাম ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। খুচরো বাজারে ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। ছোট লালচে রানি চিংড়ির দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। তা এখন ৫৫ টাকার উপর চলে গিয়েছে। খুচরো বাজারে ১০০ টাকার উপর। শিমূল কাটার দাম ছিল ১২ থেকে ২০ টাকা। বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। খুচরো বাজারে ৮০ টাকা হয়েছে। ছোট শংকর মাছের দাম ছিল ১৪ থকে ২০ টাকা। তার দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা। খুচরো বাজারে ৭০ থেকে ৮০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।