পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রাথমিক রিপোর্টে শিয়ালদহ উড়ালপুল, অরবিন্দ সেতু, কালীঘাট ব্রিজ, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে ভার কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শিয়ালদহ উড়ালপুল থেকে ট্রাম লাইন তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে বিশেষজ্ঞরা। চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে ওই ব্রিজগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েক বছর পরে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল হয়ত রাখা যাবে না। এই ব্রিজটির ডিজাইনে ত্রুটি আছে। মেট্রো রেল চালু হয়ে গেলে উড়ালপুলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তবে প্রথম পর্যায়ে বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাকি রয়ে গিয়েছে। সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে স্টুপ নামে একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা। পুজোর আগেই তা করতে চেয়েছিল কেএমডিএ। কিন্তু পুলিস যানজটের আশঙ্কা করায় তার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। এবার যাতে তিনদিনের জন্য সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা যায়, তার জন্য পুলিসের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিজন সেতু বন্ধ করলে দক্ষিণ কলকাতায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
গড়িয়াহাট থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল বিজন সেতু। এই সেতু দিয়ে দিনে-রাতে অসংখ্য গাড়ি চলে। চলে বহু রুটের বাস। সেই সব গাড়িকে ঘুরিয়ে দিতে হবে। তবে বিজন সেতুর অবস্থা ভালো নয় বলে মনে করেন কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা। বিশেষ করে বালিগঞ্জের রেল লাইনের উপরে অবস্থা খারাপ। ব্রিজের নীচে সরকারি অফিস, দোকান সব থাকায় নজরদারি করা হয় না। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা দরকার বিজন সেতুতে।
এর পাশাপাশি চেতলা লকগেট ব্রিজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেরামতির জন্য পুলিসের কাছে সময় চাইল কেএমডিএ। এই ব্রিজটি ৫০ বছরের পুরনো। পুরোটাই লোহার। পুজোর আগে সেখানে ত্রুটি ধরা পড়ায় প্রাথমিক মেরামত করা হয়েছে। এবার যান চলাচল বন্ধ করে পুরো ব্রিজটির মেরামতি করার জন্য পুলিসের কাছে সময় চাইল কেএমডিএ।