নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বুলবুলের দাপাদাপির জেরে ডুবে যাওয়া রায়দিঘির সাগর-২ ট্রলারের নিখোঁজ ৬ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে তিনজনের দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের ছাইমারি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা থেকে রেণুপদ মুদি (৩৪), লুৎফর মীর (৩০) ও যাদব প্রধান (৫৫) দেহ পাওয়া যায়। তাঁদের বাড়ি রায়দিঘির কঙ্কনদিঘি ও কৈলাসনগর এলাকায়। গত ৩ নভেম্বর ট্রলারটি রায়দিঘি থেকে ছাইমারির দিকে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ৯ নভেম্বর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য জঙ্গলের কাছে নোঙর করা ছিল। রাতে তা ডুবে যায়। নামখানার পাতিবুনিয়ায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এদিন সন্ধ্যায় টেনে ফ্রেজারগঞ্জের চরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিস ও মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্তারা হাজির ছিলেন। জানা গিয়েছে, ট্রলারের ভিতর দেহ রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। তবে কতজনের তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিস। প্রসঙ্গত, বুলবুলের দিনই পাতিবুনিয়ার কাছে ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। তাতে ৯ জনের দেহ ছিল। এরমধ্যে ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়। নিখোঁজ ছিলেন ছ’জন।
এদিকে, এদিন বিডিও অফিসে রায়দিঘির মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের হাতে মাথা পিছু দু’ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। সংসদ সদস্য চৌধুরি মোহন জাটুয়া তা তুলে দেন। সেই সময় মৃতের পরিবারের লোকজন চাকরির দাবি করেন। সংসদ সদস্য তাঁদের কর্মসংস্থান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। মৃত মৎস্যজীবী পরিবারের বাড়ি যান জেলা পরিষদের সদস্য অলক জলদাতা, প্রধান পূর্ণিমা নস্কর। তাঁদের হাতে তারপোলিন, রান্নার সরঞ্জাম, জামা-কাপড় এবং দাহ করার টাকা দেওয়া হয়। তার আগে সকালে সেখানে যান সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, গত দু’দিন ধরে চেষ্টার পর নামখানার পাতিবুনিয়াতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে এদিন সন্ধ্যার মুখে তোলা গিয়েছে। ট্রলারের ভিতর নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের দেহ রয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। তবে কতজনের দেহ তা এখনই বলা যাচ্ছে না।