কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বসির মিঞা নামে বাংলাদেশের এক নাগরিক কলকাতায় আসেন ব্যবসার কাজে। ৭ নভেম্বর তিনি ইলিয়াস নামে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই সেলিম নামে এক ব্যক্তির কাছে যান। সেলিম তাঁদের ব্যবসার প্রয়োজনে হাবড়ায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাতে তাঁরা রাজি হন। সকলে মিলে শিয়ালদহ স্টেশনে খাওয়াদাওয়া করে ট্রেনে ওঠেন। হাবড়ায় নামামাত্র তাঁদের অপহরণ করে সেলিমের দলবল। বাইকে তুলে হাত ও চোখ বেঁধে একটি গোপন ডেরায় নিয়ে আসা হয় তাঁদের। সেখানে আটকে রেখে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চায়। কিন্তু বসির জানান, এত টাকা তাঁর কাছে নেই। এরপর অপহরণকারীরা বসিরের মোবাইল থেকে ফোন করে তাঁর বাবাকে। টাকা দাবি করা হয়। শেষমেশ ছয় লক্ষ টাকায় রফা হয়। এই টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন দু’জন। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের কাছে থাকা টাকা, দামি বিদেশি ঘড়ি সহ অন্যান্য সামগ্রী।
বসিরের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, সেলিমই এই অপহরণের মূল মাথা। তার কলকাতায় ডেরা রয়েছে। কিন্তু সে রয়েছে ক্যানিংয়ে। পুলিসের একটি টিম সেখানে পৌঁছে যায়। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তার পিছু ধাওয়া করে আসে তদন্তকারী টিম। শেষে পাটুলি এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। একইসঙ্গে অন্য আর একটি টিম হাবড়া যায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক মহিলা সহ দুই অভিযুক্তকে। তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। তদন্তে নেমে পুলিস জেনেছে, অপহরণকে ব্যবসায় পরিণত করেছিল সেলিম ও তার দলবল। মূলত বাংলাদেশিরাই ছিল টার্গেট। ব্যবসার টোপ দিয়ে হাবড়ায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা চলত। ধৃতদের নিয়মিত বাংলাদেশে যাতায়াত রয়েছে। সেখানকার একাধিক অপরাধীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। কোনও অপরাধ করার পরেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যেত তারা। কিছুদিন পরে ফিরে এসে ফের নতুন অপহরণের ঘটনা ঘটাত। এছাড়াও তারা নারী ও শিশু পাচার চক্রে জড়িত। কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে এসে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হতো বাংলাদেশে। এই নিয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে এন্টালি থানার পুলিস।