দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর এবং কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরো নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গড়া হয়েছে। যার আহ্বায়ক হয়েছে কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা। সেই কমিটিতে রয়েছেন পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানরা। আর নগরোন্নয়ন দপ্তরের যুগ্ম সচিব শান্তনু মুখোপাধ্যায়কে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন।
উত্তর শহরতলির এই পুরসভার এলাকাগুলিতে তিন হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বিধাননগর পুরসভা এলাকায়। গত বছর এই সময়ে আক্রান্ত হয় ৯৭৮ জন। এবছর হয়েছে ৯৮৬ জন। তাই এদিন ওই সব পুরসভাগুলির কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। সকলকে মশা নিবারণের জন্য জঞ্জাল পরিষ্কারের উপর বিশেষ জোর দিতে বলেন তিনি। পুরসভাগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়, জেশপ সহ বন্ধ কারখানায় জঙ্গল হয়ে রয়েছে। সেগুলি মশার আঁতুড়ঘর। সেখানে ঢোকা যাচ্ছে না, আমরা কী করব?
জবাবে পুরমন্ত্রী বলেন, জেশপ বা এ ধরনের কারখানায় জঙ্গল পরিষ্কার করতে হলে, আপনারা টেন্ডার ডেকে কাজ করুন। তার যে বিল হবে, তা আমরা শিল্প দপ্তরে পাঠিয়ে দেব। ফাঁকা জমিতে জঙ্গল পরিষ্কার করে তার চার্জ জমির মালিকের ট্যাক্সের বিলে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু জঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগী হতে হবে, না হলে তা সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় হতে হবে। সমন্বয় কমিটি সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। মশার লার্ভা মারার তেল বা কোনও কিছুরই অভাব নেই। নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে যা যা লাগবে, তা দেওয়া হবে। কিন্তু ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতাবৃদ্ধি করতে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালাতে হবে।