গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ত্রাণ বিলি শুরু করা হয়। তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের ডেকে ডেকে ত্রিপল ও জলের পাউচ বিলি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরপর বিজেপির অঞ্চল সভাপতি নিতাইপদ সর্দারের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। ত্রাণ সামগ্রী বিলির জন্য সর্বদলীয় কমিটি তৈরির দাবি জানান। এনিয়ে বৈঠকের জন্য তাঁদের দুপুর ২টা পর্যন্ত পঞ্চায়েত অফিসে বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি মণ্ডল তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঝামেলা শুরু হলে হাতে গোনা বিজেপি কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিছিল করে স্লোগান দেন। এরপর পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া মাঠে বসে তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠক শুরু করেন। ওই সময় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির অঞ্চল সভাপতি নিতাইপদ সর্দার বলেন, ওরা তৃণমূলের লোকেদের বেছে বেছে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করছিল। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া হয়নি। আমরা ত্রাণ বিলির জন্য সর্বদলীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিই। ওরা জানায়, রাজ্য সরকারের থেকে ত্রাণ এসেছে। আমরা আমাদের পছন্দের লোককে দেব। কেন্দ্রের সরকার ত্রাণ দিলে তখন কমিটি গঠন করা হবে। পঞ্চায়েত অফিসে আমাদের মারতে উদ্যত হলে আমরা বেরিয়ে আসি। এরপর আমরা পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া মাঠে বসে আলোচনা করছিলাম। সেই সময় ওরা আমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে রড, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আমাদের ছয় জন কর্মী জখম হয়েছেন।
প্রধান দীপ্তি মণ্ডল বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে এদিন ত্রাণ বিলি করা হচ্ছিল। ওই সময় বিজেপির লোকেরা পঞ্চায়েত অফিসে এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দিতে শুরু করে। ত্রাণ সামগ্রী বিলির কাজ আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে আমাদের কর্মীরা আসার পর ওরা নিজেরাই পঞ্চায়েত অফিস থেকে চলে যায়। আমাদের কেউ ওদের মারধর করেনি। মানুষের বিপদের সময় ওরা রাজনীতি করতে চাইছে।