পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবহণ দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, বাচ্চাদের সুরক্ষার প্রশ্নে প্রশাসন যেমন তৎপর, তেমনই স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। দপ্তরের একটি সূত্রের খবর, এ বিষয়ে ২০১৬ সালে খোদ পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী চিঠি দিয়েছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানদের। তাতেও যে পরিস্থিতির বদল হয়নি, তা গত সোমবারের ঘটনাই প্রমাণ করে দিয়েছে। স্কুলগাড়ি নিয়েই এদিন পরিবহণ ভবনে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কলকাতা পুলিসের কর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন দপ্তরের আধিকারিকরাও। বৈঠকের পর এক কর্তা বলেন, স্কুলগাড়ি নিয়ে একটি বিস্তারিত ‘গাইডলাইন’ তৈরি করা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবেই এদিনের এই বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতেই হবে। ‘এম পরিবহণ’ নামের একটি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রয়েছে। সেখান থেকে গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র ঠিক রয়েছে কি না, তা দেখে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে দপ্তরেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। অবৈধ কাগজপত্র নিয়ে বেআইনিভাবে চলাচলকারী স্কুলগাড়ির বিরুদ্ধে আগামী দিনেও অভিযান চলবে বলে পুলিস ও পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর।
দপ্তরের এক কর্তা জানান, বুধবার পার্ক সার্কাস চত্বরে স্কুলগাড়ির কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছিল। সেই সময় একাধিক পুলকারকে ধরা হয় তাদের ট্যাক্স ও ফিটনেসের কাগজপত্র ঠিক না থাকায়। কিন্তু, অভিভাবকদের বিক্ষোভের জন্য দু’টি ছাড়া বাকি গাড়িগুলিকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। অভিভাবকদের বক্তব্য ছিল, পড়ুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
সোমবারের ঘটনার পরই কোমর বেঁধে নেমেছেন লালবাজারের কর্তারা। শহরের সমস্ত ট্রাফিক গার্ডের এলাকায় চলছে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষার কাজ। যা বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে। পুলিস সূত্রের খবর, এদিন শহরে স্কুলগাড়ির কাগজপত্র যাচাই করা হয়। দেখা হয়, গাড়িগুলির পারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ঠিক রয়েছে কি না। চালকের লাইসেন্স ঠিক রয়েছে কি না। স্কুলগুলির নিজস্ব গাড়ি নয়, এমন যানবাহনের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল। কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ গাড়িরই স্কুলের শংসাপত্র ছিল না। লাগাতার এমন অভিযান চলবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিস এই বিষয়ে সচেতনতার উপরেই জোর দিতে চাইছে। সেই কারণেই গাড়ির মালিক ও চালকদের বোঝানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্কুলগাড়িতে কেন সমস্ত কাগজপত্র ঠিক রাখা দরকার, সেটাই জানানো হচ্ছে তাঁদের। যদি এর পরেও কেউ সচেতন না হন এবং নির্দেশিকা মেনে না পরিষেবা দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় যে মামলা করা হবে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন আধিকারিকরা।