বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন মেয়রের এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর ফোন করেন বেহালার ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িশা গভর্নমেন্ট হাউসিংয়ের বাসিন্দা দুলাল মল্লিক। তিনি বলেন, আগস্ট মাস থেকে স্থানীয় একটি পুকুর সংস্কারের জন্য তিনি আবেদন করে আসছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরসভার তরফে কেউ খোঁজও নিতে যাননি। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিকের নাম করে তাঁকে কার্যত ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন। মেয়র ফোনে দুলালবাবুকে রেখেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে জবাবদিহি তলব করেন। তিনি যা বলেন, তাতে পুরসভার সংশ্লিষ্ট বরো এবং তাঁর পরিবেশ বিভাগের সমন্বয়ের অভাব সামনে চলে আসে। সব শুনে মেয়র আরও ক্ষুব্ধ হন। এর কিছুক্ষণ পর একটি ফোন আসে ওই এলাকারই ১২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। সেখানকার ১০/২, পশুপতি ভট্টাচার্য রোডের বাসিন্দা বীরেন দাস বলেন, আমি ‘টক টু মেয়র’-এ তিনবার ফোন করেছি। প্রতিশ্রুতি মিললেও এখানকার যে পুকুরটি সংস্কারের আবেদন করেছিলাম, তা কিছুই হয়নি। ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েন মেয়র। ওই আধিকারিকের উপর গিয়ে পড়ে রোষ। তখন উপস্থিত ছিলেন পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ। তিনি সাফাই দেওয়ার ঢঙে জানান, বেহালায় তো বৈঠক করে পুকুরের সাইজের ভিত্তিতে সাফাই করার ‘রেট’ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই দরদামে আগ্রহী ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে কোনও সমস্যা নেই। তারপরও না হওয়া সত্যি আশ্চর্যের। ওই এলাকারই ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্পশ্রী আবাসন থেকে দিলীপকুমার চৌধুরী নামে এক বৃদ্ধ ফোন করে পুকুর সাফাই এবং মশার বংশবৃদ্ধির কথা জানান। তিনি মেয়রের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বিষয়টি একাধিকবার জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। এছাড়াও ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সরশুনা এলাকা থেকেও একই ধরনের সমস্যা নিয়ে ফোন আসে। মেয়র সবাইকে বলেন, এত পুকুর রয়েছে যে, সব জায়গায় কাজ করতে সত্যিই সমস্যা হচ্ছে। তবে পুরসভা কাজ করে চলেছে বলে জানান তিনি। এদিন জলাশয় নিয়ে যে যে ফোন এসেছে, সেগুলি অবিলম্বে সাফাই করার জন্য তিনি মৌখিকভাবে দায়িত্ব দেন ডিজি (সিভিল) পি কে দুয়াকে।
পরে মেয়র বলেন, এখন ডেঙ্গু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কলকাতা পুরসভার সংযুক্ত এলাকায় (১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড) প্রচুর জলাশয় রয়েছে। আমরা যতটা সম্ভব করছি। এদিনও যথারীতি কলকাতার বাইরের সমস্যা নিয়ে একাধিক ফোন আসে। বাঁকুড়া পুরসভার রাস্তা, রাজারহাটের পুকুর সংস্কার বা নদীয়ার সমস্যাও মেয়র মন দিয়ে শুনেছেন। কলকাতা পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার রাস্তার কাজ করতে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ এলে মেয়র ওই কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন।