বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাঁশবেড়িয়ার জমিদার নন্দীদের আমলেই শুরু হয়েছিল ধুমো কার্তিক পুজো। জমিদারের সেই বাড়ির কাছেই এখনও ধুমো কার্তিকের পুজো হয়। স্থানীয় মানুষের দাবি, ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি পুজো শুরু হয়েছিল। কেন কার্তিকের নাম ধুমো তার ইতিহাস অবশ্য ধোঁয়াটে। স্থানীয় সাহাগঞ্জ যুবগোষ্ঠীর তত্ত্বাবধানেই এখন পুজো হয়। ইতিমধ্যেই পুরাণকথিত দেবতার মূর্তি নির্মাণ হয়ে এসেছে অনেকটাই। প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ে গিয়েছে।
নন্দীবাড়ির উত্তরপুরুষ তাপস নন্দী বলেন, ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে এই পুজো চালু হয়েছিল। কিন্তু কার্যকারণ সেভাবে আজ আর লেখাজোখা নেই। এভাবেই চলে আসছে বাঁশবেড়িয়ার বাবু কার্তিক বা রাজা কার্তিকের পুজো। কেন এমন নামকরণ বা পুজোর ইতিহাস তা নিয়ে বিশেষ তথ্য মেলে না। এলাকার প্রবীণ মানুষ তথা পুজো উদ্যোক্তা পান্নালাল সাহা বলেন, রাজা নন্দকুমারের সময়কার এই পুজো। সেদিনও যেখানে হতো এখনও সেখানেই পুজো হয়। কার্তিকঠাকুর এখানে বাবু বা রাজার বেশে থাকেন। তাই রাজা কার্তিক নামকরণ। কোরা কাপড়ের ধুতি, পাঞ্জাবি আর মুকুটশোভিত কার্তিকের দুই সখীও থাকে, ময়ূরও দু’টি। পুজোয় জিলিপি ভোগ দিতেই হয়। আর কাপড়ও কোরা কাপড়ই হতে হবে। এমনটাই বিধান। উর্বরতার দেবতা হিসাবে কার্তিক পুজোর স্বীকৃতি মেলে জ্যাংড়া কার্তিকের পুজোয়। কাঁসারিদের হাতে চালু হওয়া এই পুজোয় কার্তিক যোদ্ধা। তাঁর যুদ্ধসাজ, ঢাল, তরোয়ালের বাহার দেখার মতো। তবে জ্যাংড়া নাম কেন? উত্তর মেলে না ২৯১ বছর ধরে চলে আসা পুজোর স্থায়ী মণ্ডপে।