কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুসারে হরিপাল ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ জন, জাঙ্গিপাড়া ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫, ধনেখালি ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ৫। তারকেশ্বর ব্লকে রামনগর মধুবাগানের বাসিন্দা ঈশিতা মাইতি, ভঞ্জিপুর গ্রামের শীতল বাউড় সহ আক্রান্তের সংখ্যা ১২ জন। জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন শ্রীরামপুর পুরসভা এলাকায়। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৪ জন। রিষড়া পুরসভা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯। ব্লকের মধ্যে সবথেকে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন খানাকুল (১) এলাকায়, আক্রান্তের সংখ্যা ১১২ জন। সিঙ্গুর ব্লকে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ জন। সিঙ্গুর এলাকাতেও ভিন রাজ্য থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বেশি।
তারকেশ্বর পুরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মোহন চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মমাফিক সাফাই করা ছাড়াও জলা জায়গায় ও নর্দমায় মশার লার্ভা নষ্ট করার জন্য ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছ। জুলাই মাসে তিনবার ও প্রত্যেক মাসে দুবার করে প্রতি বাড়িতে গিয়ে পরিদর্শন ও সচেতন করে বিশেষ পরিদর্শক দল। ২ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে মোট ২৫টি দল রয়েছে। ২৫ টি দলের জন্য রয়েছে ৫ জন সুপারভাইজার। প্রতিদিন নিয়ম করে পরিদর্শনের রেকর্ড পাঠানো হয় স্বাস্থ্য দপ্তরে। এছাড়া ভেক্টরবর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল টিমে কাজ করছেন মোট ৬ জন। সচেতন করার পাশাপাশি ওই সমস্ত এলাকায় মশার লার্ভা তৈরি হতে পারে, এমন জায়গা যেন না থাকে সে বিষয়ে নজর রাখে পরিদর্শক দল। কোনও এলাকায় মশার প্রাদুর্ভাব ঘটলে সচেতন করা হয় সমস্ত দপ্তরকে। এখনও পর্যন্ত তারকেশ্বর পুর এলাকায় একটিও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী নেই বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।