পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী বসির মিঞা ও তাঁর বন্ধু ইলিয়াস নভেম্বর মাসের গোড়ায় ব্যবসার কাজে কলকাতায় আসেন। স্ত্রীর গয়না কেনার জন্য বসির মিঞার কাছে সাড়ে সাত হাজার ডলারের পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রায় আরও ৪৫ হাজার টাকা ছিল। কলকাতায় থাকাকালীন বসির মিঞার সঙ্গে কোনওভাবে সেলিম নামের এক ব্যক্তির আলাপ হয়। ৭ নভেম্বর শিয়ালদহ বিগবাজারের সামনে সেলিমের সঙ্গে তিনি খাওয়াদাওয়াও সারেন। তখনই কথা প্রসঙ্গে বসির তাঁর সঙ্গে থাকা সাত হাজার ডলারের কথা বলেছিলেন সেলিমকে।
এরপরই হাবড়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে সেলিম ও তার দলবল বসির ও তাঁর বন্ধু ইলিয়াসকে লোকাল ট্রেনে করে গুমা স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের অপহরণ করে গোপন ডেরায় আটকে রাখে বলে অভিযোগ। সেখানে বসির ও ইলিয়াসের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এমনকী তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্রের বাট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। টাকা না দিলে প্রাণ মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে বসিরের মোবাইল থেকে বাংলাদেশে তাঁর বাবা সিকান্দার মিঞাকে ফোন করে ছ’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে দুষ্কৃতী দলটি। পাশাপাশি বসিরের কাছে থাকা সাড়ে সাত হাজার ডলার, একটি দামি হাতঘড়ির পাশাপাশি হাতখরচের ৪৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয় সেলিমের দলবল।
কে এই সেলিম? শিয়ালদহ অপরাধ জগতের এক সোর্স জানাচ্ছে, এই অপহরণ কাণ্ডে নাম উঠে আসছে নারকেলডাঙার কুখ্যাত দুষ্কৃতী সেলিম ও তার দলবলের। যদিও কলকাতা পুলিস সরকারিভাবে এর সত্যতা স্বীকার করেনি।
প্রায় পৌনে ১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে দুষ্কৃতী দলটি এক দালাল চক্রের হাতে থেকে তুলে দেয় এই দুই বাংলাদেশিকে। সেই দালাল চক্রের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ১১ নভেম্বর এন্টালি থানায় বসির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সেলিম ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। এই তদন্তে এখনও অন্ধকারে পুলিস।