কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়দিঘি থেকে যাওয়া ওই ট্রলারের নাম সাগরকন্যা-১। ট্রলারের মালিক মেদিনীপুরে থাকলেও তা রায়দিঘিতে থাকে। রায়দিঘি ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে রবীন দাস বলেন, ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় রায়দিঘি থেকে মাছ ধরার জন্য ট্রলারটি বেরয়। তাতে মাঝিসহ দশজন মৎস্যজীবী ছিলেন। ওইটি এবং আরও একটি ট্রলার টাইগার রিজার্ভ প্রজেক্টের জঙ্গলের কাছে ছাইমারিতে ঝড়ের রাতে নোঙর করেছিল। ১০ নভেম্বর খবর আসে যে, ট্রলারটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ট্রলার নিয়ে আমাদের মৎস্যজীবীদের একটি দল খুঁজতে বের হয়। ছাইমারির কাছে গিয়ে দেখা যায়, জঙ্গলের পাশে একটি গাছে অনেকগুলি জ্যাকেট ঝোলানো রয়েছে। বুঝতে পারি, মাঝি কোনও সংকেত রেখে গিয়েছে। এখানে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আরও তল্লাশি চলে। একটি জায়গাতে গিয়ে খাঁড়ির কাছে আমাদের ট্রলার চড়ায় আটকে যায়। সেই সময় আচমকা নজরে আসে, খাঁড়ির ভিতর থেকে একটি ডিঙি আসছে গামছা নাড়তে নাড়তে। তাঁরা কাছে আসতেই চিনতে পারি। সাগরকন্যা-১ ট্রলারের ১১ জনের মধ্যে ওই তিনজন ছিলেন। তাঁদের ট্রলারে তোলা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রচণ্ড ঝড়ে ট্রলার ডুবে যাওয়াতে তাঁরা সাঁতরে জঙ্গলে গিয়ে উঁচু গাছের উপর আশ্রয় নিয়েছিলেন। বাকিরা কোথায় সে হদিশ দিতে পারেননি। কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক ও রাজ্য মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা জয়কৃষ্ণ হালদার বলেন, এইসব ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীরা জঙ্গলের মধ্যে কোনও উঁচু গাছে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে থাকেন। কয়েকমাস আগে এরকম এক ঘটনায় অনেক খোঁজ করার পর জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের। স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে হয়, উপকূল থানা এবং বন আধিকারিকরা মৎস্যজীবীদের সঙ্গে যৌথভাবে জঙ্গলে গিয়ে তল্লাশি করলে তাঁদের হদিশ পাওয়া যেতে পারে। কারণ, ছাইমারির যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বাঘের ডেরা। স্বভাবতই বন বিভাগ সঙ্গে না থাকলে এই কাজ করা যাবে না।