বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন। মেডিক্যাল টিমও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস বলেছেন, যেখানে ডেঙ্গুতে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন বলে আমরা খবর পাচ্ছি, সেখানেই মেডিক্যাল টিম পাঠাচ্ছি। সরকারি হাসপাতালে যাঁরা ভর্তি আছেন, তাঁদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে কত রোগী ভর্তি হচ্ছেন, তাদের সেই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হিসেবে গত শুক্রবার পর্যন্ত হাওড়া শহরে এক হাজারের কিছু বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার সেই হিসেব বদলে গিয়েছে। এখন সরকারি হিসেবে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২০০। বাস্তব এই সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, যাঁরা কলকাতা বা হাওড়ার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি, সেই রিপোর্ট জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে এখনও আসেনি। অথচ বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রোগীদের অধিকাংশই ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। এই হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও পুরসভা নির্বিকার থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বৃষ্টি কমে গেলেও সোমবার বিকেলেও লিলুয়ার ভট্টনগর এলাকায় জল জমে আছে। অবস্থা এমন যে, অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। অথচ পুরসভা এখানে জল বের করার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় লোকজন এই নিয়ে বরো অফিসে অভিযোগ করলেও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন তাঁরা। ফলে এই এলাকায় নতুন করে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে বলেই ধারণা বাসিন্দাদের।