সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
কী হয়েছিল? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলবুল-এর আতঙ্কে এমনিতেই শনিবার রাতে শহর সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। তবে পুলিসের নিত্যদিনের মতোই টহলদারি চলছিল। আচমকাই ওই টহলদারি পুলিসের একটি দলের নজরে আসে, রাত পৌনে বারোটা নাগাদ এক যুবক সেতুর রেলিংয়ের কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। বিষয়টি সন্দেহজনক লাগে পুলিসকর্মীদের। তিনি প্রথমে নিজের বাইকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকাই রেলিংয়ের কাছে চলে যান। তখনই টহলদারি পুলিসকর্মীরা বুঝতে পারেন, ওই যুবক আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করছেন। হেস্টিংস থানার ওসিকে খবর দেওয়া হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই চলে আসেন। পুলিস দূর থেকে প্রথমে ওই যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করে। যুবক তা শুনতে চাননি। তারপর দীর্ঘক্ষণ কথা বলে কোনওরকমে তাঁকে আটকানো হয়। পুলিস জানিয়েছে, যুবককে থানায় নিয়ে এসে কথা বলে জানা যায়, তিনি সম্প্রতি ঋণ নিয়েছেন। পাশাপাশি, তাঁর বান্ধবী মাঝেমধ্যেই টাকা চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন। যা নিয়ে তিনি রীতিমতো চাপে ছিলেন। একইসঙ্গে, বান্ধবীকে নিয়ে যুবকের সঙ্গে তাঁর মায়ের মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। সেকারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চাইছিলেন বলে পুলিসকে জানিয়েছেন। ঘটনার খবর যুবকের বাড়িতে পাঠানো হলে তাঁর মা থানায় আসেন। পুলিস আধিকারিকরা তাঁর মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপরই যুবককে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।