পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ প্রধান বলেছেন, জেলায় প্রায় ৬২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছিল। এছাড়াও প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়েছিল। তার সবটাই বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে যে ধানগুলি একটু দেরিতে ফলন হতো, সেগুলির অবস্থা বেশি খারাপ। সব্জি চাষেও ক্ষতি হয়েছে। তবে শাক জাতীয় সব্জি ফের লাগালে দিন ১৫-২০ এর মধ্যে তার ফলন পাওয়া যাবে। কিন্তু, বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে ক্ষতি হয়েছে। আমরা সমীক্ষা শুরু করেছি। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেছেন, আমাদের এলাকায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছিল। বন্যায় কিছু ক্ষতি হয়েছিল। ফের বুলবুলের প্রভাবে আরও ক্ষতি হল। আমরা প্রতিটি পঞ্চায়েত থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, বন্যার জন্য আমাদের তিনটি পঞ্চায়েতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এবার বুলবুলের প্রভাবে ধান ও সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আলু চাষও পিছিয়ে গেল। কারণ, ধান তোলার পরই আলু চাষ শুরু হয়। কিন্তু, এখন জমিতে জল দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় ধানও কাটা যাবে না। আর ধান কাটলেও তা থেকে কতটা চাল পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
কৃষিদপ্তরের অফিসাররা বলেছেন, মূলত শ্যামপুর, বাগনান এলাকায় ক্ষতি কিছুটা কম হবে। কারণ, এখানে নদীর তীরের জমি বালি মাটি। এই মাটিতে জল দ্রুত বেরিয়ে যায়। কিন্তু, এঁটেল মাটির জমিতে জল বের হতে সমস্যা হয়। রবিবার সকালে শ্যামপুর-১ ব্লকের বাণেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দেখা গেল, বিঘের পর বিঘের জমির ধান সম্পূর্ণ শুয়ে পড়েছে। চাষিরা পাম্প লাগিয়ে জমি থেকে জল বের করার চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি মাথায় হাত পড়েছে সব্জি চাষিদের। জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকলে গোঁড়া পচে গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। একই অবস্থা উদয়নারায়ণপুরের কুরচি এলাকারও। সেখানেও জমিতে এক হাঁটুর কাছাকাছি জল দাঁড়িয়ে আছে। ফলে সেখানেও পাম্প লাগিয়ে জল বের করার কাজ করছেন চাষিরা। চাষিরা বলেছেন, পুজোর মুখে বন্যায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু, ভেবেছিলাম আমন ধানের ফলন ঠিক পাব। কিন্তু, যেভাবে বৃষ্টি হল, তাতে এবার চরম লোকসানের মুখে আমাদের পড়তে হবে।