সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
শুক্রবার রাত থেকেই বুলবুলের টানা বর্ষণ চলছে। এই বর্ষণে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল, কলকাতা শহরতলির বিভিন্ন এলাকা থেকে জল জমার খবর এসেছে। জল নামার কোনও লক্ষ্মণ দেখছেন না বাসিন্দারা। বরং সময় যত গড়াচ্ছে, ততই জমা জলের স্তর বাড়ছে। বরানগর এলাকার সিঁথির মোড়, কালীমাতা কলোনি, কালীচরণ ঘোষ রোড, নোয়াপাড়া, ব্যারিস্টার পি মিত্র লেনে জল থইথই করছে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শনিবার সকালে পুরকর্মীরা নর্দমাগুলি পরিষ্কারে নামেনি। ফলে জল বেরচ্ছে না, জল আটকে যাচ্ছে।
কামারহাটি পুর এলাকার বহু ওয়ার্ডে জল জমার একই চিত্র। ফিডার রোড, শ্রীকৃষ্ণনগর, ওয়াদাপাড়া, নন্দননগর এলাকার বাসিন্দারাও বুলবুলে জলযন্ত্রণা ভোগ করছেন। পুরসভার কর্তারা জানান, বৃষ্টি থামার দু’তিন ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে। পাম্প দিয়ে জল তোলা হচ্ছে। বাসিন্দারা বলছেন, টানা বর্ষণ চলছে। জমা জলের মধ্যেই থাকতে হবে।
এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ে সোদপুরের এইচবি টাউনে। শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে এইচবি টাউনে অবস্থা আরও শোচনীয়। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান জল। জমা জল ঠেলেই যাতায়াত করছেন বাসিন্দারা। বৃষ্টি থামার পর এখানে জমা নামতে সময় লাগে সপ্তাহখানেক বা তার বেশি। বুলবুল থামার পরেও জল যন্ত্রণা পোহাতে হবে ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এইচবি টাউনের সি ব্লক এলাকায় বাড়ি প্রদেশ কংগ্রেসের জন অভিযোগ সেলের সভাপতি শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, আমার বাড়ির চারপাশে জল থইথই করছে। পানিহাটি পুরসভা নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেয়নি। কিন্তু, এখানকার বাসিন্দাদের জল যন্ত্রণা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই।
খড়দহ, বারাকপুর, টিটাগড়, শ্যামনগর, ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহরের একাধিক ওয়ার্ডে জল জমার খবর এসেছে। বারাকপুরের লালকুঠি পাড়াতে জমা জল ঠেলে যাতায়াত করছে যানবাহন। বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, ওই রাস্তাটি পূর্ত দপ্তরের। ওখানে হাইড্রেন নির্মাণ করা হবে। ফলে সেখানে আর জল জমবে না। চার পাঁচ মাস পরেই লালকুঠিতে কাজ শুরু হবে।