সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পরিবার সূত্রে খবর, রাম ও শারদ দু’জনেই মধ্য কলকাতার বড়বাজারের বাসিন্দা ছিলেন। বাড়ির কাছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শাখাতে তাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ১৯৯০ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অযোধ্যায় করসেবার ডাক দিয়েছিল। সেখানে হাজার হাজার করসেবকের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কোঠারি ভাইয়েরা। কিন্তু, কর্মসূচির সময় পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বেশ কিছু করসেবক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার রাম ও শারদ। এদিকে, রামমন্দির তৈরির কাজ শুরু হলে অযোধ্যায় যাবেন বলে জানিয়েছেন পূর্ণিমা। তাঁর কথায়, আমার ভাইদের মতো যেসমস্ত করসেবকরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা অযোধ্যা যাব।
রাম ও শারদ কোঠারির মতো ওই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরের আশুতোষ নাভাল। অন্যানা করসেবক ও তাঁদের পরিবারের মতো শীর্ষ আদালতের রায়ে তিনি বেশ খুশি। ১৯৯০ ও ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় রামজন্মভূমির আন্দোলনের স্মৃতি এখনও বেশ তাজা আশুতোষের। এনিয়ে প্রশ্ন করতেই ডুব দিলেন অতীতে। তাঁর কথায়, আমি প্রায় ২০০ কিলোমিটার হেঁটে অযোধ্যার সরযূ নদীর সেতুতে পৌঁছেছিলাম। পুলিসের থেকে বাঁচতে প্রাক্তন মন্ত্রী জগদীশ দেবা ও অন্যদের সঙ্গে ড্রেনে ও পুকুরে লুকিয়ে পড়ি। ভোলা নামে এক রিকশচালক আমাদের তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায় এবং খাবারেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। আশুতোষ ছাড়াও অশোক পুরোহিত, প্রফুল্ল ইয়াজুরয়েডি, সঞ্জয় বিসারিয়ার মতো করসেবকরাও শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত খুশি। জীবদ্দশায় রামমন্দির দেখে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৬৬ বছর বয়সি অশোক পুরোহিত। পাশাপাশি, বর্তমানে পেশায় আইনজীবী প্রফুল্ল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর শনিবার মান্দসৌর আদালতে মিষ্টি বিলি করেন।