সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
জেলাশাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কয়েকটি পরিবারকে নিরাপত্তার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। কয়েকটি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। শহরে যাতে জল জমে না থাকে তার জন্য ৪৪টি পাম্প তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনমতো সেগুলি ব্যবহার করা হবে। যে বাড়ি দু’টির একাংশ ভেঙেছে তার জঞ্জাল সরিয়ে ফেলার কাজও হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শ্যামপুর-২ ব্লকে ৬টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। সেখানে মোট ৩৬০ জনকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও ২৯৭৫ জনকে তাঁদের আত্মীয় বাড়ি বা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। শ্যামপুর-২ ও বাগনান ব্লকের বাসিন্দাদের এদিনই মাইকে করে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। গাদিয়াড়ায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের দু’টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও জেসিপি, ইলেক্ট্রিক কাটার, অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে। গাদিয়াড়া থেকে নূরপুর ফেরি সার্ভিসও এদিন সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এদিন গাদিয়াড়ায় জলোছ্বাস এমন জায়গায় যে নদীর পাড় ডিঙিয়ে যায় কোনও কোনও সময়। সেই কারণে কাউকে নদীর ধারে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণত শনি ও রবিবার এখানে পর্যটকরা যান। কিন্তু, এদিন কার্যত পর্যটক শূন্য গাদিয়াড়া। এদিন শুধু গাদিয়াড়া নয়, গোটা জেলার সমস্ত ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেইমতো এদিন কোথাও ফেরি সার্ভিস হয়নি।
এদিকে, হাওড়া শহরের অবস্থাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর হাওড়ার ৩, ৬, ১১, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বেলগাছিয়া, দাশনগর, রামরাজাতলা, শিবপুরের একাংশে জল জমেছে। বেশ কিছু রাস্তায় জল অনেক বেশি জমে যাওয়ায় টোটো চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুযোগ বুঝে রিকশ চালকরা বেশি দর হাঁকাচ্ছেন। এদিকে এদিন হাওড়ার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ওই বাড়ি দু’টি দেখে যান। তাঁরা রিপোর্ট দেওয়ার পর বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। শনি ও রবিবার পুরসভার কমিশনার বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্যোগ মোকাবিলা, জল সরবরাহ, রাস্তা, নিকাশি, সাফাই, স্বাস্থ্য, আলো, বিল্ডিং (ভাঙা অংশ সরানোর কাজে নিযুক্ত কর্মী) ও সাতটি বরো অফিসের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছেন। একই সঙ্গে বালি সাব অফিসের সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।