সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
লুটপাটের আগেই লুটের মালের ক্রেতা ঠিক করে রাখার বিষয়টি জানার পর রীতিমতো বিস্মিত লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দারা। তাঁদের কথায়, পেশাদার বড় বড় ডাকাতরাও ডাকাতিতে যাওয়ার আগে কখনও এতটা আত্মবিশ্বাসী থাকে না। প্রায় ২৫-৩০ বছর লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত এক গোয়েন্দা কর্তা সঙ্গত কারণেই বললেন, কতটা আত্মবিশ্বাসী থাকলে জীবনের প্রথম অপরাধের আগে তার পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব!
ধৃত ঐন্দ্রিলা, মুহুরি রূপম সমাদ্দার ও পবিত্র দেবনাথ ওরফে ভোলাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে দুই রিসিভারকে গ্রেপ্তার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। ধৃতরা হল নরেন্দ্রপুর থানার বোড়ালের বাসিন্দা সমরেশ দাস এবং নেতাজিনগরের বাসিন্দা অঙ্কুশ আওতাদে। তাদের কাছ থেকে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে লুট হওয়া সোনার গয়না মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করে শিয়ালদহ লরেটো স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর আচমকা বাবা পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী হন। এরপর থেকেই অভাবের তাড়নায় অন্ধকার নেমে আসে ঐন্দ্রিলার জীবনে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা। প্রথমে কল সেন্টারে চাকরি করে সংসার টানার চেষ্টা করে সে। কলসেন্টারের পর সে ‘ইউনিসেক্স’ বিউটি পার্লারে কাজ নেয়। এই কাজের সুবাদে বেশ কিছু কাস্টমারের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ গড়ে ওঠে ঐন্দ্রিলার। পুলিস হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের দুঃখের কথা বলতে গিয়ে একথা স্বীকার করেছে সে। গোয়েন্দারা ঐন্দ্রিলার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করছেন।