সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
তবে এদিনের বৈঠকে অভিযোগ ওঠে, বেহালার কিছু অংশে সাফাইকর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছেন না। যা শুনে মেয়রও ক্ষুব্ধ হন। জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের ডিজিকে তিনি বলেন, যে ঠিকাদার সংস্থার অধীনস্থ সাফাইকর্মীরা কাজ করছেন না, সেই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।
তবে সাফাই এবং নিকাশিনালা কতটা বেহাল, তা এদিন দেখা গেল ট্যাংরার চায়না টাউন লাগোয়া মাঠেশ্বরতলার রোডে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লি সিয়ং কুয়োং (২৪) নামে এক যুবকের। তিনি এই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। দেখা গেল, ওই এলাকার চারপাশ গাছ-আগাছায় ভর্তি। ভাঙা থার্মোকলের বাক্স, পরিত্যক্ত বালতি কোথাও কোথাও পড়ে রয়েছে। সেগুলিতে জল জমে মশার আঁতুরঘর তৈরি হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা জানালেন, বেশ কিছু অংশে সাফাইয়ের কাজ হচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে চায়না টাউনের রেস্তরাঁগুলির পরিত্যক্ত সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলার তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার বললেন, আমার ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডটি এখন অনেক পরিচ্ছন্ন। তবে ওয়ার্ডের কিছু জায়গা সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সেগুলি ধীরে ধীরে সমাধান হবে। তবে তিনি এও জানান, যে ছেলেটি মারা গিয়েছেন, তিনি ও তাঁর ভাই বেশ কয়েকদিন কলকাতায় ছিলেন না। ফিরে এসেই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন ওই যুবক।
বাগবাজারের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনস্থ ক্ষীরোদ বিদ্যাবিনোদ অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা পূজা দাসের মৃত্যুকে শুধুমাত্র অজানা জ্বর বলতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারাও। তবে ওই কিশোরী যে অংশে থাকতেন, সেখানকার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। নোংরা পরিবেশে মশার বাড়বাড়ন্ত। যার জেরে ওই অংশে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হওয়াই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার কাউন্সিলার বাপি ঘোষ বলেন, আমার লোকজন যখন পূজার বাবা দিনু দাসকে বলেছিলেন, হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করতে। তা তিনি করেননি। এদিন পুজার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দিনু দাসের পরিবারের লোকজন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। শুধু দাবি করলেন, বাড়ির মেয়েকে কেড়ে নিল ডেঙ্গুই। তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য কাউন্সিলারদের যেভাবে অতীনবাবু কাঠগড়ায় তুলেছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ করেন ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের আরএসপি কাউন্সিলার দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি এক বিবৃতিতে জানান,পুর-কর্তৃপক্ষের তথ্য চেপে যাওয়ার মানসিকতার জন্য এই অবস্থা হয়েছে। আমি আমার ওয়ার্ডে নিয়মিত সচেতনতা শিবির, লিফলেট বিলি থেকে শুরু করে নানা কর্মসূচি নিয়েছি। পুরসভার কর্তারা বরং ফাঁকা জমি বা জলাশয়ের জঞ্জাল সাফাইয়ে গড়িমসি করেছেন। এখন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কাউন্সিলারদের উপর দায় চাপানো হচ্ছে।