গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজারহাটের বিডিও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, উনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তাঁর কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বলতে পারব না। শুনেছি ভাঙড়ে থাকতেন। সেখান থেকে জ্বর নিয়ে এসেছিলেন। এই এলাকায় মরশুমি জ্বর থাকলেও ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নেই। এ বিষয়ে রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, সতর্ক হলে ওই রোগীর হয়তো এই পরিস্থিতি হত না। সময়ে চিকিৎসকের কাছে যাননি তিনি। তাঁর দাবি, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের এলাকার প্রতিটি পঞ্চায়েতকে ধোঁয়া দেওয়ার মেশিন, তেল দেওয়ার মেশিন কিনে দেওয়া হয়েছে। এখানে ডেঙ্গুর সেরকম কিছু নেই।
অন্যদিকে, হাবড়াতে ফের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল একজনের। মৃতের নাম সবিতা কুণ্ডু (৬২)। তাঁর বাড়ি হাবড়ার গণদীপায়ন এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে সবিতাদেবী জ্বরে ভুগছিলেন। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দিন কয়েক আগে তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন তিনি সেখানে ভর্তি ছিলেন। পরে তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের লোকজন বলেন, হাবড়া হাসপাতালের রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়েছিল।
এদিকে, অজানা জ্বরে গাইঘাটা থানার গাজনা গ্রামের এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম লিলি পোদ্দার (৩৭)। শুক্রবার ভোরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন লিলিদেবী। গত মঙ্গলবার তাঁকে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই তিনি এদিন ভোরে মারা যান। মৃতের পরিবারের দাবি, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন লিলিদেবী। যদিও মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গুর উল্লেখ নেই।