গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের ফেরিঘাটগুলিতে যাত্রী নিরাপত্তা অটুট রাখতে এসওপি রূপায়ণ করা হয়েছে। সেখানে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সেই এসওপি কঠোরভাবে মেনে ফেরি পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষত, জেটি ও নৌ-যানে পর্যাপ্ত আলো, লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া সহ প্রয়োজনীয় প্রতিটি পরিকাঠামো সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে জলসাথীদের। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর শেষের পরিষেবা পর্যন্ত কোনও সময়েই ফেরিঘাট জলসাথীশূন্য রাখা যাবে না। তাঁদের সুষ্ঠুভাবে কর্তব্যপালন করতে হবে। যাত্রীদের জন্য ফেরিঘাটে ‘বুলবুল’ সম্পর্কিত ঘোষণা চালিয়ে যেতে হবে। ফেরি চলাচলের উপযুক্ত আবহাওয়া না থাকলে, অবশ্যই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিষেবা বন্ধ করতে হবে। কোনওভাবেই ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। নজরদারির জন্য খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুমও।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রতিটি স্টেশনকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ‘মনসুন পেট্রোলিং’ চালানো হবে। ঝড়ে ওভারহেড তার ছিঁড়ে গেলে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় টাওয়ার কার রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য বিশেষত খড়্গপুর-ভদ্রক শাখায় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি সিনিয়র ডিভিশনাল সেফটি অফিসার ও ডিভিশনাল সেফটি অফিসাররা সমন্বয় রেখে দেখভাল করবেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ‘বুলবুল’-এর জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নিরবচ্ছিন্নভাবে নজরদারিও চালানো হচ্ছে।