ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
পর্ষদ সূত্রের দাবি, ছটপুজোর পর ৩ নভেম্বর রবীন্দ্র সরোবরের দুটি জায়গা (বুদ্ধ মন্দির গেট, বিআরসি গেট) থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই জলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাতেই বলা হয়েছে, জলে ডিও’র মাত্রা প্রতি লিটারে পাঁচ মিলিগ্রামের কম হয়ে গেলে তাকে বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয়। সেখানে ছট পুজোর পর রবীন্দ্র সরোবরের দুটি জায়গায় সেই মাত্রা ৯.৩০ এবং ৯.২০ মিলিগ্রাম ছিল। অন্যদিকে, বিওডি’র ক্ষেত্রে সেই মাত্রা প্রতি লিটারে তিন মাইক্রোগ্রামের মধ্যে থাকলে তাকে সহনশীল বলা হয়েছে। সেখানে ছটপুজোর পর রবীন্দ্র সরোবরের জলে সেই মাত্রা প্রতি লিটারে ১.২৫ এবং ১.৯৫ মাইক্রোগ্রাম ছিল। তবে পর্ষদের রিপোর্টে জলে কলিফর্মের (মল-মূত্র) মাত্রা কত ছিল, তা উল্লেখ করা হয়নি। পর্ষদের এক কর্তা বলেন, কলিফর্মের তথ্য আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে সেই মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকলেও, মারাত্মকভাবে বেশি হবে না বলেই পর্ষদের বিশেষজ্ঞদের দাবি।
এদিকে পর্ষদের রিপোর্ট নিয়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, তাদের রিপোর্টে কোনওবারই কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে না। তাছাড়া রবীন্দ্র সরোবরের জল এমনিতেই যথেষ্ট খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ছটপুজোর জন্যই তা বেশি করে খারাপ হয়েছে, বলা যায় না। তবে রবীন্দ্র সরোবরের পরিবেশ রক্ষায় সব সময় সক্রিয় থাকা পরিবেশপ্রেমী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পর্ষদের এই রিপোর্ট তাঁদের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। যে সরকারের মদতে আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সরোবরে ছটপুজো হল, সেই সরকারের অধীন পর্ষদ এখন জলে কোনও অস্বাভাবিকতা খুঁজে পাবে না— এটাই স্বাভাবিক।