ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
অন্যদিকে শান্তিপূর্ণভাবে এদিন বিকেলের আগেই মিটে গিয়েছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানপর্ব। পুরুষদের শাড়ি পরে মাকে বরণ থেকে সিঁদুর খেলার মতো নানা আচারকে ঘিরে ভাসানপর্বও ছিল জমজমাট। রকমারি ব্যান্ড আর অগণিত মানুষের আবেগে মায়ের বিদায়বেলাতেও সুশৃঙ্খল ছিল অতীতের ফরাসডাঙা। কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভাসানপর্ব মিটেছে। চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী আলোকময় শোভাযাত্রাকে ঘিরে বিপুল ভিড় শহরে জমায়েত হয়েছিল। স্ট্যান্ড রোডকে ঘিরে ওই শোভাযাত্রা যেমন প্রতিযোগিতার অঙ্গ তেমনি চন্দননগরের বিশেষ পরিচিতির কারণও বটে। সেখানেও সুশৃঙ্খলভাবে মানুষ আলোর ইন্দ্রজাল দেখেছেন। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিসও জানিয়েছে, ভাসানপর্ব শান্তিতে মিটেছে। চন্দননগর পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, রানির ঘাট ও শিববাটি ঘাটে ভাসানকে কেন্দ্র করে দূষণের কোনও পরিস্থিতি হয়নি। আমরা যাবতীয় কাজ পরিকল্পনামাফিক করেছি। পুজো উদ্যোক্তারাও সহযোগিতা করেছেন।
দশমীর দুপুর থেকেই চন্দননগরে দেবীর ভাসানপর্ব শুরু হয়ে যায়। সুসজ্জিত গাড়িতে করে দেবীকে শহরের দু’টি ঘাটে বিসর্জন দেন পুজোর উদ্যোক্তারা। তার আগে নানান আচার আর সিঁদুরখেলায় অংশ নিয়ে শহরময় ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসবপাগল মানুষ। বিকেল গড়ানোর পর থেকেই আলোর শোভাযাত্রাকে ঘিরে শহরে টান উত্তেজনার আবহ ক্রমশ ছড়াতে থাকে। অগণিত বহিরাগত মানুষের ঢল নামে শহরে। রেলপথ, জলপথ, সড়কপথে আলোর ইন্দ্রজালের সাক্ষী থাকতে মানুষ ভিড় করেন শোভাযাত্রার নির্ধারিত পথের ধারে। সন্ধ্যা নামার পরপরই শহর ঢেকে যায় কালো মাথার ভিড়ে। আস্তে আস্তে স্ট্যান্ড রোড ধরে রাতের আকাশ আলো ছড়িয়ে ভেসে উঠতে শুরু করে নানান আলোর শোভা। কখনও হ্যারি পটারকে চোখের সামনে দেখে মুগ্ধ হয়েছে দর্শক কখনও বা ভূতেদের কাণ্ডকারখানায় সহর্ষ উল্লাস ছড়িয়েছে পথে। কখনও শিশুর সারল্যে মেতেছে রূপকথার নানান চরিত্রদের প্রায় জীবন্ত আলোকময় প্রকাশে। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩৯টি লরিতে নানান থিম সাজিয়ে শোভাযাত্রা হয়েছে। যা চাক্ষুষ করতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে অবরুদ্ধ চন্দননগর।