ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
মৃতার বড় দিদি রীতা বিশ্বাস এদিন ৭ নম্বর উদয়নপল্লিতে বাগজোলা খাল সংলগ্ন বাড়ির সামনে রাস্তায় মশা তাড়াতে তাড়াতে বলেন, আমরা সবাই এই বাড়িতে রয়েছি। এখানে ডেঙ্গু হচ্ছে বলে ভয়ে বাচ্চাটিকে এই বাড়িতে নিয়ে আসছি না। ওর জন্য আমরা সবাই চিন্তায় রয়েছি। এমনিতেই ও অপরিণত শিশু। আমরা দু’বেলা করে গিয়ে দেখে আসছি। ওর নাম জ্যোতিষ্কা রেখেছি আমরা। কিন্তু, রুনু তো ঠিক করে বলে যেতেই পারল না যে তার ওই নামটাই রাখা হবে।
রুনু বিশ্বাস সরকারদের বাড়ির কয়েকটি বাড়ি পরে সুব্রত বিশ্বাস নামে বছর পঁচিশের এক যুবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রয়েছেন বলে এদিন স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সুব্রতবাবুর মা শিপ্রা বিশ্বাস বলেন, ডেঙ্গু হয়ে বাড়িতেই ছেলের চিকিৎসা চলছে। বেলেঘাটায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, ভর্তি নেয়নি। সেখানেই একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ওই এলাকায় গত কাল থেকে অর্পিতা সরকার নামে একজনের জ্বর এসেছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা ভয়ে রয়েছি। এদিন রুনুদেবীদের বাড়ির পিছনে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পেয়েছে বিধাননগর পুরসভার টিম। এদিন ওই এলাকায় ১০-১২ জনের পুরকর্মীদের একটি বড় টিম যায়। তাঁরা বিভিন্ন বাড়িতে জল জমে রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে মশার তেল ও ধোঁয়া দেয়। তাতে বিকাশ কর নামে এক ব্যক্তি সহ আরও কয়েকটি বাড়িতে বালতিতে থাকা জলে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। সেখানে এমনই জানান, ওই টিমের তদারকিতে থাকা পুরসভার স্থানীয় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শতদল মল্লিক। তবে সেখানেই এক যুবক এগিয়ে এসে পুরসভার টিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্থানীয় ৭ নম্বর পুকুরের কী নোংরা অবস্থা খতিয়ে দেখুন! এদিকে, গতকালের পর এদিনও দেখা যায় বাগজোলা খাল সংলগ্ন ওই বাড়িগুলিতে মশার ঝাঁক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মৃত পুলিসকর্মীর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে আসেন কলকাতা পুলিসের ডিসি কমব্যাট নভিন্দর সিং। তিনি জানান, আমাদের এক পুলিসকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। খোঁজ নিতে এসেছিলাম। এছাড়া এদিন সকালে কলকাতা পুলিসের কয়েকজন পদস্থ আধিকারিক সেখানে এসেছিলেন।