ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও’র উদ্যোগে এই ‘অর্জুন’ প্রদর্শিত হচ্ছে সায়েন্স সিটিতে। বিজ্ঞান উৎসব উপলক্ষে সাধারণের জন্য এই ট্যাঙ্কার প্রদর্শিত হচ্ছে। একে দেখে ছোট থেকে বড় সকলেই ছবি বা সেলফি তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ট্যাঙ্কারের উপরে, পাশে সর্বত্র। সেনাবাহিনীর যে সব অফিসার ট্যাঙ্কারের সঙ্গে এখানে ডিউটিতে এসেছেন, তাঁদের কথায়, মানুষের আগ্রহ মারাত্মক। ট্যাঙ্কার কীভাবে কাজ করে, কোথা দিয়ে গোলা বের হয়, কী কী কাজ করে—এমন হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। অক্লান্তভাবে খুদেদের সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চলেছেন সেনাবাহিনীর অফিসাররা। কেউ আবার ট্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকতে চাইছেন, তো কেউ আবার ট্যাঙ্কার চালিয়ে দেখানোর আব্দার করছেন। সেনাবাহিনীর কর্মীরা প্রায় সকলের আবেদনই রাখছেন একে একে। এর মধ্যেই দেখা গেল এক ব্যক্তিকে। হাতের লাঠি দিয়ে ট্যাঙ্কারের বিভিন্ন অংশ ছুঁয়ে কী যেন বোঝার চেষ্টা করছেন। এক ঝলকেই স্পষ্ট, উনি চোখে দেখতে পান না। কিন্তু, কাছে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি শুধু হাসলেন। সঙ্গে সঙ্গে একজন এসে বললেন, উনি চোখে দেখতে পান না। কানে শুনতে পান না। এমনকী কথাও বলতে পারেন না। শুধুমাত্র স্পর্শ দিয়েই বিজ্ঞানকে অনুভব করতে এসেছেন। কলকাতায় বিজ্ঞান উৎসবে শামিল হওয়া এমন দু’জন হলেন বেঙ্গালুরুর প্রদীপ সিনহা এবং দিল্লির জামির ঢালে। তাঁদের সহযোগী কাব্যেয়া শ্রীনিবাসন বললেন, কলকাতা বিজ্ঞানের শহর। এই শহরে এসে বিজ্ঞানকে জানতে পেরে, বুঝতে পেরে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত। ট্যাঙ্কার অর্জুনের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র বিশেষ করে ব্রহ্মস এই অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হচ্ছে। তা দেখার আগ্রহও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রবলভাবে দেখা গিয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ কেন্দ্রের বিভিন্ন রকেট থেকে চন্দ্রযান-১, চন্দ্রযান-২, মঙ্গলযান দেখতে ভিড় জমিয়েছে বহু পড়ুয়া। সেই সঙ্গে একের পর এক প্রশ্নে বিজ্ঞানের প্রতি তাঁদের আগ্রহ উদ্যোক্তাদের মুগ্ধ করেছে।