পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়ি। গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। নির্দিষ্ট সময়েই ওই গৃহবধূর পাসপোর্টের পুলিস ভেরিফিকেশন হয়ে যায়। কিন্তু, দেড় মাস ধরে তাঁর স্বামীর পাসপোর্টের পুলিস ভেরিফিকেশন আটকে রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কেন এই ভেরিফিকেশন রিপোর্ট আটকে রাখা হয়েছে, তা জানার জন্য বারবার ওই দম্পতি থানায় যান। তখন গৃহবধূকে জানানো হয়, তাঁর স্বামীর জন্মস্থান হাওড়ায়। তাই ভেরিফিকেশন হতে সময় লাগবে।
থানায় বারবার দৌড়নোর ঝক্কি এড়ানোর জন্য গৃহবধূ, থানার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন দপ্তরে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ হুসেনের ফোন নম্বর নেন। গত সপ্তাহে তিনি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের বিষয়টি জানানোর জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারকে ফোন করেন। তখন আচমকাই ফিরোজ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলবে বলে জানায়। ওইদিন সিভিক ভলান্টিয়ার যথারীতি গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতেও পৌঁছে যায়। এরপর সে জানায়, পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্রের প্রথম পাতার ফটোকপি লাগবে। ওই দম্পতি আবেদনপত্রের প্রথম পাতার ছবি মোবাইলে তুলে নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু, সে জানায় জেরক্স লাগবে। গৃহবধূর স্বামী জেরক্স করতে বেরিয়ে যাওয়ার পর সিভিক ভলান্টিয়ার স্বমূর্তি ধারণ করে। সে ফাঁকা ঘরে গৃহবধূকে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ।
এরইমধ্যে গৃহবধূর স্বামী চলে আসায় সে গৃহবধূকে ছেড়ে দেয় এবং ওই জেরক্স নিয়ে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যায়। এরপর স্বামীর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী ও সমস্ত ঘটনা জানান। এরকিছু সময় পর সিভিক ভলান্টিয়ার থানায় ফিরেই গৃহবধূর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ পাঠায়। এরপর স্বামীর সম্মতি নিয়েই প্রমাণ জোগাড়ের লক্ষ্যে গৃহবধূ পরিকল্পনা মাফিক তার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন শুরু করেন। ওই মেসেজের মাধ্যমে শ্লীলতাহানির বিষয়টি ফিরোজ অকপটে স্বীকার করে নেয়। এমনকী কয়েক দিনের কথাতেই সে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল মেসেজও পাঠায় বলে অভিযোগ।
ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার পর সোমবার সন্ধ্যায় গৃহবধূ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবি জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত কথোপকথনের স্ক্রিন শট ফেসবুকে পোস্ট করেন। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সোমবার তিনি মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। এরপর পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। ওই গৃহবধূ বলেন, আমার ধারণা ওই সিভিক ভলান্টিয়ার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে এমন অনেক মহিলার উপর অত্যাচার করেছে। যেভাবে আমার শ্বশুরবাড়িতে এসে আমার শ্লীলতাহানি করেছে, তা ভাবলেই আমি আতঙ্কে শিউরে উঠছি। আমি স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রমাণ জোগাড়ের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলি। যথেষ্ট প্রমাণ হাতে আসার পর ফেসবুকে পোস্ট করার পাশাপাশি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি অভিযুক্তের কঠোর সাজা চাই।