কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এমনিতেই এই সময় মশার দাপট প্রতিবছর বাড়ে। কিন্তু, তার জন্য প্রতিবছর পুরসভার পক্ষ থেকে এই সময় নর্দমা পরিষ্কার, ফগিং ও মশা মারার তেল দেওয়া হয়। কিন্তু, গত বছর পুরসভার বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। লিলুয়া এলাকার নর্দমাগুলি কার্যত জল যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। সেগুলি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার হয়নি। এমনকী, এই এলাকায় ব্লিচিং পাউডার বা মশা মারার তেল দেওয়া হয় না। উত্তর হাওড়ার অন্যান্য ওয়ার্ডের অবস্থাও একই। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর পুজোর পর থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও রকম ব্লিচিং পাউডার বা মশা মারার তেল বিলি করা হয়নি। তার ফলে সাফাই কর্মীরা তা দিচ্ছেন না। তাছাড়া ১০০ দিনের কাজের মজুরি নিয়মিত না মেলায় বহু সাফাই কর্মী কাজ ছেড়ে বসে গিয়েছেন। তার ফলে বিভিন্ন এলাকায় সাফাইও ঠিকমতো হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ায় ভ্যাটগুলিতে বেলা পর্যন্ত জঞ্জাল পড়ে থাকছে। এমনকী, কোনও কোনও ভ্যাট নিয়মিত পরিষ্কারও হচ্ছে না। তার ফলে দুর্গন্ধে এলাকার লোকজন টিকতে পারছেন না। নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় সেখানে জল জমে থাকছে। তাছাড়া বিভিন্ন এলাকায় জঞ্জাল ও জল জমে থাকায় সেখানে মশা হচ্ছে। অথচ পুরসভার পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনও তদারকি নেই।
শহরের প্রতিটি নার্সিংহোমেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এমন অবস্থা হয়েছে যে, বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, ডেঙ্গু রোগীদের প্লেটলেট কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এত সংখ্যক প্লেটলেট কলকাতার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, সব রোগীর আত্মীয়ের পক্ষে সেখান থেকে প্লেটলেট জোগাড় করে আনা কঠিন। তাই আমরা ওই রোগীদের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। যদিও পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম কাজ করছে। বাড়িতে যাতে কেউ জল জমিয়ে না রাখে, তার জন্য সচেতন করছি। পুরসভার কমিশনার এই দাবি করলেও, শহরের বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা অন্য। সারাদিনই মশার দাপটে এলাকার লোকজন টিকতে পারছেন না।