ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকেল চারটের পর পঞ্চম ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মহোৎসবের সূচনাতে নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্পষ্ট বাংলায় তিনি বলেন, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে মিলিত হচ্ছি ঠিকই। কিন্তু আপনাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা এখান থেকেই অনুভব করতে পারছি। পরে তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনকে সুগম করতে বিজ্ঞানী এবং নতুন প্রজন্মের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে সেটা সকলকে উপলব্ধি করতে হবে। এবিষয়ে সরকারও যথাযথ সহযোগিতা করবে এবং বিজ্ঞানীদের কাজের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, যে দেশের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ এবং উৎসাহ যত বাড়বে, সেই দেশ ততই বেশি বিকশিত হবে। সেই সঙ্গে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং উৎসাহ, মানুষকে অন্ধ বিশ্বাস থেকে মুক্ত করবে। মানুষকে সঠিক জ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করবে। তিনি জানান, কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ বরাবরই সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের পীঠস্থান বলে পরিচিত। এখান থেকে দিকপাল বহু বিজ্ঞানী এসেছেন, যাঁরা শুধু দেশ নয় গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি মনে করেন, কলকাতার এই পবিত্র ভূমি থেকেই ভারতীয় বিজ্ঞানের নয়া যাত্রা শুরু হবে। আন্তর্জাতিক এই বিজ্ঞান মহোৎসবের হাত ধরেই সেই যাত্রা শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদীও।
তিনি আরও বলেন, চন্দ্রযান-২’র ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কিন্তু, এই ঘটনা ভারতীয় খুদেদের মধ্যে বিজ্ঞানের আগ্রহ বাড়িয়েছে। এটাই ভারতীয় বিজ্ঞান জগতের গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে দেখা দেবে বলে তিনি আশাবাদী। একইসঙ্গে বিজ্ঞানীদের কাছে তিনি আবেদন করেন, তাঁদের কাজের জন্যই মানুষের চাহিদা এবং আগ্রহ অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই বিজ্ঞানীরা এবার নিজেদের গবেষণাকে আরও বেশি সাধারণ মানুষ কেন্দ্রিক করুক। এতে সকলের উপকার হবে। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজেও যথেষ্ট সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। প্ল্যাস্টিক দূষণ রোধে বিকল্প তৈরি, সৌরশক্তির সঠিক ব্যবহার, বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ-বান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা, পানীয় জল, স্বাস্থ্য এবং কৃষি ক্ষেত্রের উপযুক্ত গবেষণা প্রয়োজন হবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে, অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্বে বিজ্ঞানের আলোচনার ফাঁকেই একদল দর্শকের ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি’ও অনেক অভ্যাগতদের অবাক করে দিয়েছে। যদিও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া দর্শকরা কারা সেবিষয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি। এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার উপস্থিত ছিলেন।