কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য গত কয়েকদিন ধরেই হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার ট্রেনে অস্বাভাবিক ভিড় হচ্ছে। আর এই ভিড়ের চাপেই সোমবার রাতে ট্রেন থেকে পড়ে মারা যান দুই যাত্রী। ঘটনাটি ঘটে শেওড়াফুলি স্টেশন পার হয়েই বাজারের রেলগেটের কাছে। মৃতদের নাম ভিকি সিং (২৬) ও সুবীর কুণ্ডু (২৪)। ভিকি সিংয়ের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরে ও সুবীর কুণ্ডুর বাড়ি চুঁচুড়ার কাপাসডাঙা কলোনিতে। রেল পুলিস জানিয়েছে, তাঁরা আপ বর্ধমান লোকালে যাচ্ছিলেন। ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। তাঁরা গেটের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন পিঠের ব্যাগ বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লাগে। তাঁরা লাইনের ধারে ছিটকে পড়েন। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য এখন সারাদিনই আপ ও ডাউন ট্রেনে ভিড় থাকছে। প্রতি বছরই জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটে। এবারও ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি হলেও ভিড় কিছুই কমেনি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে যাত্রীরা মনে করছেন।
মৃত যাত্রী সুবীর কুণ্ডু সোমবার দুপুরে শ্রীরামপুরে মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাতের ট্রেন ধরে তিনি হুগলি স্টেশনে নেমে বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু, শ্রীরামপুরে ট্রেনে এতই ভিড় ছিল যে তিনি ভিড় ঠেলে ভিতরে যেতে পারেননি। অন্যদিকে, ভিকি সিং ঠাকুর দেখতে আসছিলেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ভদ্রেশ্বর স্টেশনে নেমে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা করেছিলেন। ভিড় থাকায় তিনি শেওড়াফুলি স্টেশনেই গেটের কাছে চলে আসেন। কিন্তু, তাঁদের পিঠে ব্যাগ থাকায় ওই ব্যাগ রেল লাইনের পাশে থাকা খুঁটিতে ধাক্কা লাগে। ট্রেনের যাত্রীরা বলেছেন, এই ক’দিন যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যাঁরা হাওড়া স্টেশনে ট্রেনে উঠছেন, তাঁদের অনেকেই গন্তব্য স্টেশনে ভিড়ের জন্য নামতে পারছেন না। একটি বা দু’টি স্টেশন পর তাঁরা কোনও রকমে নামছেন। সেই কারণে ভিকি আগেই গেটের কাছে চলে এসেছিলেন বলে অনেকের ধারণা। রেল পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, এই কাপাসডাঙায় এই মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে। সুবীর কুণ্ডু সোমবার যে মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন, তিনি রাতেই খবর পেয়ে এদিন সকালে কাপাসডাঙায় পৌঁছে যান। তিনি বলেন, হঠাৎ দেখি সোমবার দুপুরে সুবীর আমাদের বাড়িতে এসেছে। দুপুরে আমাদের বাড়িতে খেয়েছে। তারপর রাত আটটা নাগাদ ও ট্রেন ধরবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু, রাতেই খবর পাই ও ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছে। তারপরই আমি হাসপাতালে যাই। সেখানেই মৃত্যুর খবর জানতে পারি। এই ঘটনা ঘটবে, তা বুঝতে পারিনি।