নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কালীপুজো বাকি আর পাঁচদিন। অথচ, শুরু হবে বলেও মঙ্গলবারও ময়দানে বাজি বাজার শুরু হল না। এদিন দেখা গেল, স্টলের কাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। কর্মীরা বাঁশের মাচা বাঁধার কাজ করছেন। তারই মধ্যে এদিন কলকাতা ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) সুখেন্দু হীরা সহ পুলিসের শীর্ষ আধিকারিকরা বাজি বাজার পরিদর্শন করেন। ছিলেন বাজি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরাও। তাঁরা ময়দানের বাজি বাজারস্থলের চারপাশ ঘুরে দেখেন। ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) বলেন, নিষিদ্ধ বাজি কোনওভাবে বিক্রি করা যাবে না। যে বাজিগুলিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে, সেগুলি কোনওভাবে কাউকে বিক্রি করতে দেখলে, সেই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হবে। বাজিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। তিনি এদিন পরিদর্শনে উপস্থিত সিইএসসি, দমকল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করেন, অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না? তাঁরা বলেন, সবরকম অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এবং আনুষঙ্গিক সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে বাজারজুড়ে। তাই অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। এরপরই সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিসের কমিশনারের তরফে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট চলে আসে ব্যবসায়ী সমিতির কাছে। সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেছেন, ময়দানের বাজি বাজার মঙ্গলবারই শুরু করে দেওয়া যেত। কিন্তু এনওসি অনেক দেরিতে পেয়েছি। তাই মঙ্গলবার রাতের মধ্যে যাবতীয় কাঠামো তৈরি করে বুধবার সকালে ১১টা থেকে বাজি বাজার খুলে দেওয়া হবে নাগরিকদের জন্য।
পুলিসের একাংশের কথায়, চীনা বাজির উপরে এবারেও কড়া নজর থাকছে। সস্তার চীনা বাজি যেমন দেশের আতসবাজি শিল্পের ক্ষতি করছে, তেমনই তাতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে বছরে এক হাজার কোটি টাকার উপর চীনা আতসবাজি ভারতে ঢুকে তাঁদের সর্বনাশ করছে। তাই এই চীনা বাজি বিক্রির উপরে সবরকম নজরদারি থাকছে। গত বছর দীপাবলিতে শহরের কয়েকজন বাজি বিক্রেতার কাছে চীনা আতসবাজি পাওয়া যায়। দাম সস্তা, সেগুলোর আলো ও ধোঁয়াও অন্য রকম বলে জানান সেই সব বাজির ক্রেতারা।