কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এই নয়া মেট্রো পথ রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে ‘কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড’ (কেএমআরসিএল)। কিন্তু এই মেট্রো পথে পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্বে থাকবে বর্তমান মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তাই নতুন রুটের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠতেই ডামি রানের আয়োজন করা হয়েছিল। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই অংশে ‘ডামি রান’ চালানো হয়। টিকিট কাউন্টার থেকে টোকেন ইস্যু করা সহ বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানো শুরু হলে যেসব পরিকাঠামোকে সচল রাখতেই হবে, তার সবই এদিন খোলা রাখা হয়েছিল। সেই ডামি রানের বিস্তারিত তথ্য বর্তমান কর্তাদের হাতে এসেছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, নয়া মেট্রো পথে আত্মহত্যার ঘটনা এড়াতেই প্ল্যাটফর্মের প্রান্তে বসানো হয়েছে স্ক্রিন ডোর। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকার পর ট্রেনের দরজা এবং স্ক্রিন ডোরকে সামনা-সামনি থাকতে হবে। তবেই যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে প্ল্যাটফর্মে যেতে পারবেন। ডামি রানে কয়েকটি ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি বলেই খবর। দ্বিতীয়ত, কিছু ক্ষেত্রে প্ল্যাটফর্মের স্ক্রিন ডোরের দরজা খুলতে বেশি সময় লাগার কথা বলা রয়েছে রিপোর্টে। রয়েছে নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রেন না দাঁড়ানো, ইমার্জেন্সি ব্রেক কষার মতো বিষয়ও।
কেন এই অবস্থা? কী বলছেন কেএমআরসিএলের কর্তারা? এক কর্তা বলেন, গোটা সিস্টেমে কোথাও কোনও গলদ নেই। নির্দিষ্ট জায়গার ৫০ সেন্টিমিটার আগে-পরে ট্রেন দাঁড় করানো হলে ট্রেনের দরজা এবং স্ক্রিন ডোরের সমন্বয় রক্ষা করা সম্ভব। তা না হলেই গরমিল হবে। আসলে বর্তমান মেট্রো থেকে প্রথমে পাঁচজন চালককে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোয় প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রেন দাঁড় করাতে পারছেন। পরে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও কোনও সময় ভ্রান্তি হতে পারে। আরও ট্রায়াল রানের মাধ্যমেই এই ভ্রান্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
নয়া মেট্রোয় সেক্টর ফাইভ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত পথে প্রথম পর্বের ট্রেন চালানো হবে। সেই পথে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানো হবে কবে থেকে? এনিয়ে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের প্রথম দিকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের সূচনা হতে পারে।