পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মূলত আটটি বিষয়ের নিরিখে র্যাঙ্কিং ঠিক করা হয়েছে। একে আবার ইন্ডিয়ান ও গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে ভাগ করা হয়েছে। পঠনপাঠনের উৎকর্ষ নিয়ে যে ভাবমূর্তি, ইন্ডিয়ান র্যাঙ্কিংয়ে তাতে সবচেয়ে বেশি নম্বর রয়েছে- ৩০ শতাংশ। প্লেসমেন্টে অংশ নেওয়া কোনও নিয়োগকারী সংস্থার কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা ও শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাতে রয়েছে ২০ শতাংশ নম্বর। কতজন শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে, তার উপর আছে ১০ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পড়ুয়া এবং ফ্যাকাল্টির উপরও নম্বর রয়েছে। এছাড়া গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে পঠনপাঠনের উৎকর্ষতার ভাবমূর্তিতে ৪০ শতাংশ নম্বর ধার্য করা হয়েছে। তবে গতবারও এই দুই বিশ্ববিদ্যালয় একই স্থানে ছিল।
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মূল ফারাক পড়ুয়া এবং শিক্ষক সংখ্যায়। যাদবপুরের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১০ হাজার ৫৩২ এবং শিক্ষক সংখ্যা ৭১৮। কলকাতায় ১৪ হাজার ৭৮২ পড়ুয়া পড়াশোনা করেন এবং তাঁদের পড়ান ৮০৯ জন শিক্ষক। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পড়ুয়া এবং শিক্ষকের সংখ্যাতেও কলকাতা টেক্কা দিয়েছে যাদবপুরকে।
এই সাফল্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য নিয়ে উপাচার্যদের ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছি। এই জয় প্রত্যেক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের। এই স্বীকৃতি বাংলার মেধা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক শিক্ষানীতির প্রতিফলন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-পড়ুয়াদের মিলিত কাজ থেকেই এই সাফল্য এসেছে। আগামীদিনে আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। তাই দায়িত্ব আরও বাড়ল আমাদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের বক্তব্য, গতবারও কলকাতা ১১ এবং আমরা ১২ নম্বর স্থানে ছিলাম। এবারও তাই। কলকাতা একধাপ এগিয়ে আছে বলে তাদের অভিনন্দন জানাই।
অন্যদিকে, কিউ এস ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে রয়েছে আইআইটি বম্বে। প্রথমে দশে সাতটি আইআইটি জায়গা করে নিয়েছে। স্থান পেয়েছে ইউনিভার্সিটি অব হায়দরাবাদ (অষ্টম) এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (সপ্তম)। আইআইটি খড়্গপুর রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তবে গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে কিন্তু কলকাতার চেয়ে কিছুটা উপরে রয়েছে যাদবপুর। দেখা যাচ্ছে ৬৫১-৭০০ র্যাঙ্কের মধ্যে রয়েছে যাদবপুর এবং কলকাতা রয়েছে ৮০১-১০০০-এর মধ্যে। যদিও দু’টি র্যাঙ্কিংয়ের মাপকাঠি কিছুটা আলাদা। এই র্যাঙ্কিংয়ে আইআইটি বম্বে ১৫২তম স্থানে রয়েছে। আইআইটি খড়গপুরের স্থান ২৮১ নম্বরে।