পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দমদমের দাগা কলোনির বিত্তশালী পরিবারের সন্তান দেবাঞ্জন দাসের জন্মদিন ছিল ১৫ অক্টোবর। জন্মদিনের ছয় দিন আগেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। প্রেমিকের জন্মদিনের দিন শেষ ফেসবুক পোস্ট তরুণীর। তখনও সকলে জানেন, দেবাঞ্জন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। ১৪ তারিখ রাত ১২টা ৯ মিনিটে তরুণী পোস্ট করেছে, ‘হ্যাপি বার্থ ডে বর, আই লাভ ইউ ফর এভার, বুবুন।’ তার সঙ্গে লাভ সাইন দেওয়া রয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন, আমরা এখন একসঙ্গে নেই, কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসার অবর্ণনীয় সময় কাটিয়ে এসেছি। যা আমার হৃদয়ের সম্পদ। উল্লেখ্য, দেবাঞ্জনের ডাক নাম বুবুন। এই পোস্টের সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছোট থেকে বিভিন্ন বয়সের ছবি, দু’জনের একসঙ্গে তোলা ছবিও কোলাজ করে দিয়েছেন তিনি।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে অর্থাৎ ৭ অক্টোবর রাতে খুন করা হয় দেবাঞ্জনকে। ১০ অক্টোবর দেবাঞ্জনের ছবি নিয়ে একটি পোস্ট দেন তরুণী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘তুমি আমার দুর্বলতা নও, তুমি আমার শক্তি, এখনও আমি বুবুনের বউ। তোমার জায়গা কেউ নিতে পারবে না। আমি সর্বদা তোমার।’ ১১ অক্টোবর তরুণী লেখেন, ‘২০১৯ সালটা আমার অনেক কিছু কেড়ে নিল।’ ১২ ও ১৩ তারিখেও দেবাঞ্জনকে নিয়ে একটি করে পোস্ট করেন তিনি। শেষ পোস্ট ১৪ অক্টোবর রাতে।
তদন্তকারীরা জানান, ফেসবুকে পোস্টে তরুণী নিজেকে বুবুনের ‘বউ’ আর ওর ‘বর’ বলে উল্লেখ করেছে। এখন পুলিসকে ভাবাচ্ছে তাহলে ওঁদের কি রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছিল? নাকি নিজের মনে মনে তরুণী ‘বর’ ভেবেছিলেন দেবাঞ্জনকে। প্রিন্সকে ‘বর-বউ’এর তথ্য দিয়েছিল কে? সব তথ্য পেতে তরুণীকে প্রিন্স ও বিশালের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। এমনকী পুলিসের তদন্তকারীরা এও খতিয়ে দেখছেন যে, দেবাঞ্জনের মৃত্যুর পর তরুণী নিজেকে ‘বউ’ বলে দাবিদার করছে কেন? এর পিছনে কি দেবাঞ্জনের পৈতৃক সম্পত্তিতে ভাগ বসানোর প্রচেষ্টা চলছে? যদিও তদন্তে নেমে এখনও পুলিস খুনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
অন্যদিকে, নিমতা থানার আইসির বদলি নিয়ে সোমবার সরব হয়েছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস ও বামেরা। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটির সদস্য শক্তি মৈত্র, জেলা সভাপতি তাপস মজুমদার, সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য প্রমুখ। শক্তিবাবু বলেন, যে আইসি খুনকে দুর্ঘটনা বলে চালাচ্ছিল, তাঁকেই স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। সঠিক তদন্ত হবে কী করে? আমরা তাঁকে বদলির দাবিতে বিক্ষোভ দেখালাম।