রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিদেশি সিগারেটের চাহিদা বাড়ছে কলকাতায়। সেকারণে গত কয়েক মাসে এর চোরাচালান বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত। ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। তাই দিল্লি থেকে ডিআরআইয়ের কাছে নির্দেশ এসেছে, বেআইনিভাবে আসা বিদেশি সিগারেটের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাতে হবে। সেই নির্দেশ হাতে পাওয়ার পরেই এনিয়ে খোঁজখবর চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। কয়েকদিন আগে তাঁরা জানতে পারেন, ট্রাক ভর্তি বিদেশি সিগারেট আসছে অসম থেকে। যা আসার কথা কলকাতার একজনের কাছে। এরপর সেই ট্রাকের নম্বর জোগাড় করা হয়। অফিসাররা জানতে পারেন, দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে সেটি শহরে ঢুকবে। সেইমতো তাঁরা সেখানে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট জায়গায়। ট্রাকটি আসামাত্রই আটক করা হয় সেটি। শুরু হয় তল্লাশি। দেখা যায়, বিভিন্ন সামগ্রীতে ঠাসা ওই ট্রাকের নীচের সারিতে রাখা রয়েছে বিদেশি সিগারেট। খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে, ট্রাকে পণ্য রয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৩,৪৭,২০০টি সিগারেট। গ্রেপ্তার করা হয় ট্রাকের দুই চালককে।
তদন্তে জানা যাচ্ছে, এই সিগারেটগুলি ইন্দোনেশিয়া ও মায়ানমার থেকে আনা হয়েছে। প্রথমে সেগুলি আসে গুয়াহাটিতে। বিদেশি সিগারেটের চোরাকারবারে জড়িত গুয়াহাটির এক ব্যক্তি কলকাতায় এগুলি পাঠিয়েছে। সে অনেকদিন ধরেই এই কারবার করছে। কলকাতায় এই ব্যবসায়ে জড়িত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। কলকাতায় একাধিক গোডাউন ভাড়া নিয়ে তা রাখা হয়। দেখা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কলকাতায় বিদেশি সিগারেট নিয়ে আসছে নির্দিষ্ট কিছু ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি। সেই সব কোম্পানিও এই চক্রে জড়িত। এরজন্য মোটা টাকা পায় তারা। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির উপর নজরদারি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এই চক্রে জড়িত ব্যবসায়ীদের সম্পর্কেও খোঁজখবর নিচ্ছেন আধিকারিকরা। ডিআরআইয়ের অফিসারদের বক্তব্য, বিদেশ থেকে চোরাপথে আসা এই সিগারেট কোনওরকম শুল্ক ছাড়াই দেশে ঢুকছে। সেই সঙ্গে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ যে করা থাকে, তা এতে থাকে না। নিয়ম হচ্ছে, অন্য দেশ থেকে সিগারেট এলে শুল্ক দেওয়ার পাশাপাশি সতর্কীকরণের লেবেল লাগাতে হয়। চোরাপথে আসা সিগারেটের চাহিদা অভিজাত এলাকায় বেশি। এমনকী পানশালা ও বিভিন্ন হোটেলেও তা মিলছে বলে জানতে পেরেছে ডিআরআই। এসম্পর্কে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।