বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নওলেশ কুমার (২১)। তিনি শ্রীরামপুরের শ্রীকৃষ্ণসরের বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার রাতেই একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে তাঁকে ওয়ালশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডেঙ্গুর সম্ভাবনা এবং চিকিৎসায় গাফিলতি, দুই অভিযোগই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খারিজ করেছে।
মৃতের আত্মীয় মুকেশ সিং বলেন, সোমবারই একটি বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে আমরা নওলেশকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। নার্সিংহোমে ডেঙ্গু ধরা পড়ার পরেই সরকারি হাসপাতালে আনা হয়। অথচ এখানে চিকিৎসাই হয়নি। আমাদের কাউকে রাতে থাকতেও দেওয়া হয়নি। রোগীর প্লেটলেট ধারাবাহিকভাবে কমে গেলেও আমাদের জানানো হয়নি। গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খারাপ ব্যবহার করে। এমনকী ডেঙ্গুতে মৃত্যুও লিখতে চায়নি। এসবেই শোকার্ত পরিবারে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। ওয়ালশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার কমলকিশোর সিংহ বলেন, ওই রোগীর অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিসে মৃত্যু হয়েছে। সেটিই মৃত্যুর কারণ বলে লেখা হয়েছে। অন্য কিছু আমরা লিখতে পারি না। বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলেও রোগীর আত্মীয়রা মানতে চাননি। আর কোনও গাফিলতি চিকিৎসায় হয়নি। হুগলি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গুতে কোনও রোগী আক্রান্ত হলে তা অস্বীকার করার কোনও কারণ নেই। ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বহু পদক্ষেপ হয়েছে এবং তাতে সুফলও মিলেছে। প্লেটলেট কেবল ডেঙ্গু হলেই কমে যায় এমনটা ঠিক নয়। শ্রীরামপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি দ্রুতই মিটে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই ওই যুবক অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে রেখে পরিবার চিকিৎসাও করাচ্ছিল। সোমবার রাতে তাঁকে ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর মিলতেই পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়রা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গুতে মৃত্যু লেখার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে শাসকদলের স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুলিসের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠে যায়।