গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বৈঠকের পর পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, কয়েকটি রুটের ‘ওভারল্যাপিং’-এর সমস্যার কথা মালিকরা জানিয়েছিলেন। সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও মালিকরা যেসব সমস্যার কথা বলেছেন, তা শোনা হয়েছে। তবে বড় কোনও ইস্যু নেই। টালা ব্রিজ দিয়ে বাস বন্ধের জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতি এখন প্রায় নিয়ন্ত্রণে। সংগঠনগুলির সঙ্গে ফের কথা বলা হবে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, টালা ব্রিজ সংক্রান্ত ব্যাপারে একটি স্বল্পকালীন এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করছে রাজ্য। স্বল্পকালীন সময়ের জন্য যে পরিকল্পনা, তা মোটের উপরে রূপায়ণ করা হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে খবর। সেই পরিকল্পনার মধ্যে থাকছে অটোর সংখ্যা বাড়ানো, অ্যাপ নির্ভর লাক্সারি ট্যাক্সির জন্য নির্ধারিত রুট তৈরি করে দিয়ে ভাড়া বেঁধে দেওয়া, বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ কয়েকটি বিষয়।
এদিনের বৈঠকের পর ‘নর্থ কলকাতা বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বোস বলেন, বৈঠকে আমরা অটো নিয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছি। তা হল, বর্তমানে অস্থায়ীভাবে সিঁথি থেকে শ্যামবাজার রুটে অটো চলাচল করছে। আমাদের দাবি, অস্থায়ী অটোগুলি চিড়িয়ামোড় থেকে চালানো হোক। তাতে বাসগুলি সিঁথি থেকে যাত্রী পাবে। অস্থায়ীভাবে আরও অটো পর্যায়ক্রমে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতে বাসের যাত্রী কমবে। আমাদের বক্তব্য, বড় রাস্তায় নতুন অটো যেন না দেওয়া হয়। জেলা, শহরতলি থেকে বহু বাস আগে কলকাতা স্টেশনে আসত। সেই বাসগুলিকে সিঁথির মোড়ে যাত্রা শেষ করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অটোর সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাসের যাত্রী কমছে। বিষয়টি বৈঠকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রুট ঘুরিয়ে দেওয়ার পর ২০২ এবং ২২১ রুট দু’টির বাস কার্যত এক জায়গা দিয়েই যাচ্ছে। তাতে দু’টি রুটেই যাত্রী কমছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তারা। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিকল্প রুটগুলি নিয়ে দপ্তর ম্যাপ তৈরি করে প্রকাশ করবে। তাতে গোটা বিষয়টি বাস মালিক, চালক এবং যাত্রীদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।