বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, পুকুর ভরাট নিয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেগুলি খতিয়ে দেখছি। কোনও জলাভূমি ভরাট করতে দেওয়া হবে না। যারা এই জলাভূমি ভরাট করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও পুরসভার অফিসারদের একাংশের অভিযোগ, রাজনৈতিক মদতেই এই পুকুরগুলি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলারদের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছিল। কিন্তু, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের পুকুর ভরাটের মতো ঘটনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, বড় বড় জলাভূমিগুলি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। একদিক থেকে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কোনও কোনও সময় রাতের অন্ধকারে মাটিও ফেলা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এই নিয়ে পুরসভায় অভিযোগ জানালেও তদন্ত প্রক্রিয়া এত ধীর গতিতে হচ্ছে যে, ততদিনে পুকুরের প্রায় অর্ধেক অংশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, এমনিতেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থার চরম সমস্যা আছে। ওই জলাশয়গুলিতে বর্ষায় নিকাশির জল গিয়ে পড়ত। তাতে ওই এলাকায় কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হত। কিন্তু, জলাভূমিগুলির একাংশ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিকাশির জলও বের হতে পারছে না। ফলে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত দক্ষিণ হাওড়ার কিছু ওয়ার্ডে এই সমস্যা আছে। এছাড়া শিবপুর বিধানসভা এলাকারও দু’টি ওয়ার্ডে বেশ কিছু জলাভূমি ভরাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দক্ষিণ হাওড়ায় জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে স্থানীয় লোকজন কিছুদিন আগে আন্দোলনেও নেমেছিলেন। তখন পুরসভা ও পুলিসের অফিসাররা আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, পুকুর ভরাট বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু, ওই আশ্বাসের পরও কিছু জলাশয় ভরাট চলছেই বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে শহরের প্রচুর পুকুর সংস্কার করে সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছে। কিছু পুকুর ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।