কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বছর দু’য়েক আগে ওই ভূ-গর্ভস্থ পার্কিং লট (পার্কোম্যাট) এবং ভূ-গর্ভস্থ বাজার বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুরসভা। দমকলের তৎকালীন রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ভূ-গর্ভস্থ পার্কিং লট (পার্কোম্যাট) এবং ভূ-গর্ভস্থ বাজারগুলির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। কখনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে, বড়সড় বিপর্যয় হতে পারে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। সেই রিপোর্টের বেশ কয়েকমাস পর হুঁশ ফিরেছিল কলকাতা পুর প্রশাসনের। তারপর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য বাজারটি খুললেও পার্কোম্যাটটি বন্ধই থাকে। প্রায় ২৬০-২৭০টি গাড়ি রাখা যায় ওই পার্কোম্যাটে। যদিও এখন ৪০টির বেশি গাড়ি পার্কিংয়ে রাখা হচ্ছে না। তাও কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের অনুমতি নিয়েই এই পার্কোম্যাট শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পার্কিং বিভাগের এক শীর্ষকর্তা। তিনি এও জানিয়েছেন, আগামী বুধবারের মধ্যে ওই বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাবতীয় সরঞ্জাম বদলের জন্য। তারপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আবারও পার্কোম্যাট চালুর অনুমতি দেওয়া হবে। পার্কিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে ভূ-গর্ভস্থ ওই পার্কিং লটটি খোলা নিয়ে আলোচনা চলছিল। অবশেষে শুধু মৌখিক কথাবার্তার ভিত্তিতেই আগের সংস্থাকেই পার্কোম্যাটটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। পুর কমিশনারের দপ্তরের বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, পার্কোম্যাটটি দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে একাধিক ত্রুটি ছিল। যা নিয়ে তিন বছর আগে নানাবিধ বিতর্ক হয়।
পুর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০০৭ সালে পুরসভা এবং ওই বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই পার্কিং লট এবং বাজার তৈরি হয়। যেখানে স্থির হয়েছিল, ভূ-গর্ভস্থ পার্কিং লটে প্রতি বছর লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ পুরসভাকে দেবে সংস্থাটি। অপরদিকে, ভূ-গর্ভস্থ বাজারের দোকানগুলি ছ’ টাকা প্রতি বর্গফুট বাবদ ভাড়া পুরসভাকে দেবে। ওই সংস্থা আবার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পৃথকভাবে ‘সেলামি’ নেবে ওই অংশের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য।