কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অরূপবাবু বলেন, বিশ্বজিৎবাবু একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। তাঁর সঙ্গে এই রকম ব্যবহার আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। পুলিসকে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমি আমার ফোন নম্বর বিশ্বজিৎবাবুকে দিয়ে এসেছি। কোনওরকম সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাতে বলেছি। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এই রকম চিঠি পাব ভাবতে পারিনি। তাই আতঙ্কে রয়েছি। পুলিস দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
বিশ্বজিৎবাবুর দানেশ শেখ লেন সরকারি আবাসনে ঘর রয়েছে। তাঁর স্ত্রী হাওড়া জেলা হাসপাতালের কর্মী। তাঁদের একটি ১৬ বছরের ছেলে আছে। বিশ্বজিৎবাবু ওই কোয়ার্টারটি একজনকে ভাড়া দিয়ে স্ত্রীর কোয়ার্টারে থাকেন। বিশ্বজিৎবাবু কার্গিল যুদ্ধের সময় বাটালিক সেক্টরে কাজ করেছেন। তারপর তিনি অবসর নিয়েছেন। পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে হঠাৎই কয়েকজন যুবক কোয়ার্টারের নীচে রাখা বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরই তাঁর কাছে চিঠি আসে। তাতে লেখা আছে, কোয়ার্টারের ভাড়াটিয়াকে এক মাসের মধ্যে না তুললে, তাঁর ছেলেকে খুন করা হবে। চিঠির নীচে লেখা ‘তৃণমূল’। এরপরই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শনিবার তিনি এই নিয়ে বি গার্ডেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস প্রথমে বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়তা দেখায়নি। রবিবার সমবায়মন্ত্রী বিশ্বজিৎবাবুর বাড়ি যেতেই পুলিসের সক্রিয়তা বেড়ে যায়। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে, এইভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর বাইক পুড়িয়ে দেওয়া ও ছেলেকে খুনের হুমকি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেও অভিযুক্তদের পুলিস গ্রেপ্তার করতে পারল না কেন? সেই কারণে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। এমনিতেই বি গার্ডেন থানা এলাকায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে এলাকার মানুষের অনেকদিন ধরেই ক্ষোভ আছে। এলাকায় মদ ও জুয়ার ঠেক বসছে। অথচ পুলিস পুলিস তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বেআইনিভাবে সরকারি জমি দখল চলছে। তা নিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ জমা হওয়া সত্ত্বেও পুলিস নিষ্ক্রীয় ভূমিকা পালন করছে। এরপর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে।