দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা নমিতা মুখোপাধ্যায়। স্বামী গৌতম মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ছেলে সম্রাট ও মেয়ে মিঠুকে নিয়ে দোতলা বাড়িতে থাকেন নমিতাদেবী। বৃহস্পতিবার মা ও মেয়ে বাড়িতে ছিলেন। রাত ১টা নাগাদ গ্রিলের দরজা ভেঙে বারান্দায় ঢোকে দুষ্কৃতী দলটি। এরপর দরজা ভেঙে নমিতাদেবীর ঘরে ঢুকে পড়ে। দোতলার ঘর থেকে দরজা ভাঙার আওয়াজ পেয়ে দাদু ও দিদাকে ফোনে বিষয়টি জানান মিঠুদেবী। এরপর নীচে নামতেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধরে ঘরের মধ্যে ভরে দেয়। এরপর মা ও মেয়েকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা আলমারি ও শোকেস ভেঙে লুটপাট শুরু করে।
নাতনির ফোন পেয়ে আতঙ্কে দৌড়ে আসেন দাদু গোবিন্দ সাহা ও দিদা মঞ্জু সাহা। তখন বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা তাঁদেরও বেঁধে ঘরের মধ্যে ভরে দেয় বলে অভিযোগ। প্রায় ঘন্টা দুয়েক লুঠতরাজ চালানোর পর তাঁদের দুটি পৃথক করে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। ভোর রাতে ঘরের ভিতর থেকে আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা মুখোপাধ্যায় বাড়ির সদস্যদের উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
মিঠুদেবী বলেন, কয়েক জন দুষ্কৃতীর মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল। অন্যদের মুখ ঢাকা না থাকলেও অন্ধকারে চিনতে পারিনি। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা আমাদের বেঁধে রেখে মারধর করে। এরপর আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, সোনা ও রুপোর গহনা সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয়।