কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দমদমের বিত্তশালী পরিবারের ছেলে দেবাঞ্জনকে খুনের তদন্তে নেমে পুলিসের সামনে যা উঠে এসেছে, তা সিনেমার গল্পের মতোই। সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর ধরে প্রেমপর্ব চলার পর তরুণীর সঙ্গে প্রিন্সের বিচ্ছেদ হয়েছিল। তারপরেই দেবাঞ্জনের সঙ্গে তিন মাস ধরে তাঁরা চুটিয়ে প্রেম করছিলেন। কিন্তু, পুজোর ঠিক ১৫ দিন আগে প্রিন্সের কাছে ফের ফিরে আসেন তরুণী। পুরনো প্রেম নতুন করে জেগে উঠলেও দেবাঞ্জনকে তিনি ‘ব্লক’ করেননি। বরং, দুই প্রেমিককেই তিনি লেজে খেলাচ্ছিলেন বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন।
পুলিস সূত্রের খবর, নবমীতে দিনভর তাঁদের লোকেশন প্রিন্সকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছেন তিনি। পুলিস জানিয়েছে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে নাইটক্লাবের পার্টিতে দেবাঞ্জনের বন্ধুরাও ছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ শরীর খারাপ লাগছে বলে বাড়িতে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছিলেন তরুণী। দেবাঞ্জন আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, তরুণী বলেছিলেন, তিনি একাই যাবেন। এরপর বান্ধবীকে নিয়ে নিজের গাড়িতে বেরিয়ে পড়েন দেবাঞ্জন।
বিরাটির সর্দারপাড়ায় রাত ২টো ৮ মিনিটে তরুণীর বাড়ির কিছুটা দূরে তাঁকে নামিয়ে দেন দেবাঞ্জন। গাড়ি থেকে বাড়ির দিকে তরুণী হাঁটা দেওয়ার ঠিক পরেই তিন আততায়ী দেবাঞ্জনের গাড়িতে উঠে পড়ে। তরুণী কি সেই তিনজনকে দেখতে পাননি? যদি দেখে থাকেন, তাহলে তিনি চিৎকার করলেন না কেন? পুলিসকে এসব প্রশ্ন ভাবাচ্ছে।
তরুণীর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে বিরাটির স্কুল রোডে দেবাঞ্জনের গাড়িটি ‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত’ হয়। পুলিস জানতে পেরেছে, তিনজন গাড়িতে উঠেই দেবাঞ্জনের মাথায় বন্দুক ঠেকায়। তাঁকে গাড়ি চালাতে নির্দেশ দেয়। সামান্য এই পথের মাঝেই দেবাঞ্জনের মাথায় ও বাঁদিকে ঘাড়ের কাছে পরপর দু’টি গুলি করা হয়। মাথায় করা গুলি মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাতে চারটি দাঁতও পড়ে যায়। গুলি চালিয়েই তারা চলন্ত গাড়ি থেকে নেমে পড়ে। গাড়িটি কিছুটা গিয়ে ‘দুর্ঘটনাগ্রস্ত’ হয়। বারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, তদন্ত চলছে। তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।