বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নবমীর রাতে দেবাঞ্জন দাসের মৃত্যুকে ‘দুর্ঘটনা’ বলেই চালাচ্ছিল পুলিস। মৃতের বাবা নিমতা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলেও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পুলিসের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা। এদিকে, শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ তিন সদস্যের ফরেন্সিকের একটি দল আসে নিমতা থানায়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গাড়িটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষার সময় হাজির ছিলেন বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (জোন-১) অজয় ঠাকুর সহ অন্য কর্তারা। গাড়ির সামনের একটা দিক ক্ষতিগ্রস্ত। চালকের আসনে শুকনো রক্তের ছাপ রয়েছে। গাড়ির পিছনের সিট থেকেও কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবাঞ্জনের মৃত্যুর পরদিন দশমীতে গাড়ির মধ্যে ব্রেক প্যাডেলের কাছে ভাঙা গুলি প্রথম দেখেন তাঁর বাবা অরুণ দাস। তিনি ওই গুলির ছবিও মোবাইলে তুলে রাখেন। তখনই তাঁর সন্দেহ হয়েছিল, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুলিসের নজরে ওই ভাঙা গুলি আসেনি কেন? এই প্রশ্নও উঠছে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ফরেন্সিক দল আগে এলে আরও টাটকা নমুনা মিলত। ১১ দিন পরে অনেক নমুনা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফরেন্সিক দলের অফিসার হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন, নমুনা সংগ্রহ করা হল। তা পাঠানো হবে ল্যাবরেটরিতে। তারপর রিপোর্ট আসবে। তবে গুলির নমুনা পাওয়া গিয়েছে। দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাসও এদিন থানায় বসে ছেলের সম্পর্কে নানান তথ্য নিয়েছেন। ডিসি (জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তদন্ত চলছে।