পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রথম মামলাটি হল উত্তর কলকাতার কাশীপুর রোডে। সেখানে পুরসভার প্ল্যান বহির্ভূত একটি বেআইনি তিনতলা বাড়ি তৈরি করা হয়। পুরসভার তরফে বার বার নোটিস পাঠানো হলেও কাজ বন্ধ করা হয়নি। এরপরই ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে কাশীপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই মামলায় এদিন বাড়ির মালিককে দু’ বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত দু’ মাস হাজতবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই বেআইনি বাড়িটি ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১ নং বরোর অধীনে ৬ নং ওয়ার্ডে ওই নির্মাণটি করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, বেনিয়াপুকুর থানার হরেকৃষ্ণ কোঙার রোডে বেআইনিভাবে একটি পাঁচতলা তৈরির ঘটনায় বাড়ির মালিককে তিন বছর জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিনমাস অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেয় কোর্ট। এর পাশাপাশি ওই বরোর তিন ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁরা বেআইনি নির্মাণ রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলেও মন্তব্য আদালতের। পুলিস ও কোর্ট সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে ওই বহুতলটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারক দোষী সাব্যস্ত ওই বাড়ির মালিকের উদ্দেশে বলেন, আপনার বয়সের কথা চিন্তা করে এই সাজা দেওয়া হল। না হলে সাজার মেয়াদ আরও বাড়ত। ভরা এজলাসে বিচারকের মন্তব্য, বাড়ি করবেন, অথচ আইনকানুন মানবেন না। এটা কেমন ব্যাপার? এ বিষয়ে সর্তক না হলে আগামী দিনে আপনাকে ‘অপরাধ মনস্ক অপরাধী’ বলে গণ্য করা হবে। সাজা আরও কঠিন হবে। এদিন কোর্ট এই পাঁচতলা বাড়িটিও গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।