দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোর অনেকক্ষণ ধরেই মেট্রো স্টেশনে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে যায়। তার পরনে স্কুলের পোশাক ছিল। দমদমগামী মেট্রো সেন্ট্রাল স্টেশনে ঢোকা মাত্র আচমকাই সে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয়। তা দেখে চিৎকার করে ওঠেন ট্রেনের যাত্রীরা। ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসে আরপিএফ ও স্থানীয় থানার পুলিস। তাকে উদ্ধার করতে প্রায় আধঘণ্টা লেগে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার ব্যাগে থাকা পরিচয়পত্র দেখে কিশোরের নাম জানতে পারে পুলিস। ফোন নম্বর পাওয়া যায়। তার বাবা-মাকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা হাসপাতালে হাজির হন। বছর পনেরোর ওই কিশোর একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কী কারণে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করল, তা স্পষ্ট নয় পুলিসের কাছে। সুস্থ হলে তার কাউন্সেলিং করাতে চায় তারা। এই ঘটনার জেরে মেট্রো কর্তৃপক্ষ দমদম থেকে গিরিশ পার্ক এবং ময়দান থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চালাতে বাধ্য হয়। মাঝে পরিষেবা বন্ধ ছিল। কিশোরকে উদ্ধারের পর মেট্রো চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
অন্যদিকে, বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনে এক যুবককে আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচাল আরপিএফ। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদ বেলগাছিয়ার স্টেশন মাস্টারের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, এক যুবক মেট্রো স্টেশনে ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর আচার-আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, আত্মহত্যা করবেন। ওই যুবকের চেহারার বর্ণনা দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজার কর্তব্যরত অফিসারদের সতর্ক করেন। আরপিএফের অফিসাররা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এক যুবককে চিহ্নিত করেন। দেখা যায়, ফোনে দেওয়া চেহারার বর্ণনার সঙ্গে সিসিটিভিতে ধরা পড়া ছবির মিল রয়েছে। এরপরই ওই যুবককে খোঁজা শুরু হয়। স্টেশনে একজনকে চিহ্নিত করা হয়। তাঁর চেহারার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ ও ফোনে দেওয়া বর্ণনার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। জেরায় ওই যুবক জানান, তিনি আত্মহত্যার জন্যই মেট্রো স্টেশনে এসেছিলেন। তাঁর নাম ও পরিচয় জানা হয়। খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। আত্মীয়রা এলে তাঁকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।