দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এরাজ্যে সামরিক বিমানঘাঁটি রয়েছে বারাকপুর, হাসিমারা, কলাইকুণ্ডা এবং পানাগড়ে। হাসিমারায় রাফাল যুদ্ধবিমানের ঘাঁটি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পানাগড়ে জে ১৩০-সুপার হারকিউলিসের ঘাঁটি। চীন সীমান্তের দূরে রাজ্যের ভিতরে থাকা এই দু’টি ঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব সর্বাধিক। কিন্তু যে কোনও সময় এই ঘাঁটিতে শত্রুপক্ষ বিমানহানা চালাতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাল্টা হামলা চালাতে নতুন রণকৌশল তৈরি করছে বায়ুসেনা। তাই ভারতীয় বিমানবাহিনীর ইস্টার্ন এয়ার কমান্ড বেছে নিয়েছে ছ’টি অসামরিক বিমানঘাঁটি। তবে তার মধ্যে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরকে। এদিন মহড়ায় উপস্থিত এক বায়ুসেনার কর্তা বলেন, তিনটি যুদ্ধবিমান এনে প্রাথমিক পর্বের প্রস্তুতি দেখে নেওয়া হল। অসামরিক এই বিমানবন্দরে আগামীদিনে আরও বেশি করে যুদ্ধবিমান এনে মহড়া চালানো হবে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতায় এই প্রথম নয়। এর আগেও এই বিমানবন্দরে যুদ্ধবিমানের মহড়া চালানো হয়েছে। সবরকম ব্যবস্থা আগেভাগেই নেওয়া ছিল।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা ডবল ইঞ্জিন মাল্টি-রোল ফাইটার জেট সুখোই-৩০ এমকেআই ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। বিশ্বের সেরা যুদ্ধবিমানগুলির অন্যতম এই ফাইটার। পাকিস্তান তো বটেই, চীনও ভারতের সুখোই স্কোয়াড্রনকে সমীহের চোখে দেখে। এই ফাইটার জেটে রয়েছে ক্যানার্ড নামে অতিরিক্ত দুটি ডানা। এই ক্যানার্ড যুদ্ধবিমানের গতি ও ভারসাম্য দারুণভাবে চালকের নিয়ন্ত্রণে রাখে। থ্রাস্ট-ভেক্টর কন্ট্রোল নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে সুখোই-৩০ বিমানে। সেই ব্যবস্থা বিমানের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। থ্রাস্ট-ভেক্টরের সুবাদে কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এত দ্রুত এগিয়ে যায় সুখোই-৩০, যে তাড়া করা অপেক্ষাকৃত পুরনো যুদ্ধবিমানের পক্ষে খুব কঠিন। অসামরিক বিমান ওঠানামা আর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর পরিচালনা করা মোটেই এক জিনিস নয়। অসামরিক বিমানবন্দরের চরম ব্যস্ততার সময় শত্রুপক্ষ চকিতে আক্রমণ করলে তা সামাল দিতেও অভিজ্ঞতা লাগে। এই বিষয়গুলির উত্তর খুঁজতেই শুরু হয়েছে বায়ুসেনার মহড়া।