পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুজোর পরও যেভাবে যখন-তখন এক-দু’পশলা বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে শহরের বিভিন্ন অংশে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে। ইতিমধ্যে উত্তরের ২ নম্বর ওয়ার্ড, বেহালা এলাকার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড সহ দক্ষিণ কলকাতার নানা জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ করা গিয়েছে। যদিও অতীনবাবু বলেন, বিগত বছরগুলির তুলনায় এবার শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কম। ২ নম্বর ওয়ার্ডের জি সি বোস লেনে কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে খবর পেয়ে সেখানে সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে যান পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস। ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে এই ওয়ার্ডে কেউ আক্রান্ত ছিল না বলে দাবি করে অতীনবাবু জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে অনেক প্রচারের পরও নাগরিকদের একটা বড় অংশই জঞ্জাল, আবর্জনা ফেলার ব্যাপারে কোনও দায়িত্ববোধের পরিচয় দিচ্ছে না বলে খেদ প্রকাশ করেন তিনি। দক্ষিণ কলকাতায় উত্তরের তুলনায় ফাঁকা জায়গা বেশি। যেখানেই ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আশপাশের মানুষ বাড়ির আবর্জনা প্লাস্টিকে ভরে ফেলে যাচ্ছে। অথচ তা পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের নির্দিষ্ট গাড়িতে ফেলার কথা। এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ কোনও আইন করে ঠেকানো সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। আর বেহালার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওখানে কেইআইআইপি প্রকল্পে নিকাশি পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। ওই কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হলে সমস্যা কমে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। পুরসভার ডেঙ্গু নিয়ে তৎপরতাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে অনেক নাগরিক একেবারে ব্যক্তিগত জমি বা এলাকার ময়লা, আবর্জনাও পুরসভার দ্বারা সাফ করিয়ে নিতে চাইছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।