দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
টালা ব্রিজ দিয়ে বাস বন্ধ হওয়ার এক বছর আগে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার কারণে দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির ৪২টি বাসের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। মাঝেরহাটের নতুন ব্রিজ তৈরি না হওয়ায় ওই বাসগুলি এখনও অনেক ঘুরে চলছে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট বৃহস্পতিবার টালা ও মাঝেরহাটের জন্য সমস্যায় পড়া বাসগুলি নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুই প্রান্তেই অন্য পথে বাস ঘুরিয়ে দেওয়ার ফলে বাস মালিকদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই ক্ষতি মেটাতে ওই বাসগুলির জন্য বর্ধিত হারে বাসভাড়ার দাবি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হবে। এই সমস্যা নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে চান। ক্ষতিগ্রস্ত বাসের রুটের মালিকদের প্রতিনিধিদের আলোচনায় রাখার দাবিও করা হয়েছে। তপনবাবুর বক্তব্য, যে বাসগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলির ক্ষতি তো হচ্ছেই। পাশপাশি ওই পথে আগে যে বাসগুলি চলত, সেগুলিও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ নতুন বাস আসায় তাদের যাত্রী ও আয় কমে যাচ্ছে। তাই ভাড়া বাডিয়ে সবার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার জন্য বেহালা-ঠাকুরপুকুরের দিক থেকে আসা বাসগুলিকে এখন তারাতলা-রিমাউন্ট রোড- হাইড রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ায় এক দফায় আট-ন’ কিলোমিটার বেশি যেতে হচ্ছে। এতে বাস চালানোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
টালা ব্রিজের বাসগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ বাস চিড়িয়ামোড় থেকে দমদম রোড-নর্দার্ন অ্যাভিনিউ দিয়ে ঘুরে বেলগাছিয়া রেলব্রিজ দিয়ে যাচ্ছে। পাইকপাড়া দিয়ে কিছু বাস বেলগাছিয়া রেলব্রিজের দিকে যাচ্ছে। ওই রাস্তায় আগে যে বাসগুলি চলত, তাদের এতে ক্ষতি হচ্ছে বলে বাস মালিকদের অভিযোগ। এই পথে বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক যানজট হচ্ছে। ট্রাফিক পরিচালন ব্যবস্থা সুষ্ঠু হওয়ায় বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার এই পথে যানজট তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তবে চিড়িয়ামোড় ও পাইকপাড়া ক্রসিংয়ে কিছুটা যানজট হয়।
যানজট ও ঘুরপথের জন্য যাত্রার সময় বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এর মধ্যে বাস কমে গিয়েছে। ৩৪বি, ৩৪সি, ২০১, ৭৮/১ সহ কয়েকটি রুটের বাসকে যে বিকল্প পথ দেওয়া হয়েছিল, তা তাদের পছন্দ হয়নি। গত সোমবার তাদের যাত্রাপথ কিছুটা পরিবর্তন করলেও এখনও তা তাদের মনোমতো হয়নি। এখনও ওই সব রুটের অধিকাংশ বাস না চলায় যাত্রীরা দুর্ভোগের মধ্যে আছেন। ওই বাসগুলি যে পথ চাইছে, তা জয়েন্ট কাউন্সিলকে জানিয়েছে। তপনবাবু জানিয়েছেন, ওই পথ তাঁরা পরিবহণ দপ্তরকে জানাবেন। পরিবহণ দপ্তর বাসের রুটগুলির সঙ্গে আলোচনা করে বিকল্প পথ ঠিক করুক।
টালা ব্রিজে বাস বন্ধ হওয়ার পর কয়েকটি সরকারি রুটের বাস একেবারে অন্যদিকে হাওড়া হয়ে চালানো হচ্ছে। এই অবস্থায় চিড়িয়ামোড় হয়ে পাইকপাড়া পর্যন্ত এবং অন্যদিকে শ্যামবাজার হয়ে গ্যালিফ স্ট্রিট পর্যন্ত কিছু শাটল বাস চালানোর চিন্তাভাবনা করছে পরিবহণ দপ্তর।