দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কী কী থাকছে এই গাইডলাইনে? লালবাজার সূত্রের খবর, প্রথমত, কোনও অবস্থাতেই বার সিঙ্গার নাচতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, বার সিঙ্গার উত্তেজক পোশাক পরা বা শ্রোতাদের উদ্দেশে প্ররোচনামূলক অঙ্গভঙ্গি করতে পারবেন না। তৃতীয়ত, বার সিঙ্গারদের গান গাওয়ার জন্য তিনফুট উচ্চতার মঞ্চ তৈরি করতে হবে। এই মঞ্চে একসঙ্গে চারজনের বেশি সিঙ্গার থাকতে পারবেন না। চতুর্থত, বলিউডের সিনেমার কায়দায় বার সিঙ্গারদের উদ্দেশে আসল বা নকল কোনও টাকাই ছোঁড়া যাবে না। পঞ্চমত, বারে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে। ষষ্ঠত, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সিসিটিভি ফুটেজ স্থানীয় থানায় জমা দিতে হবে। সপ্তমত, বার সিঙ্গারের গান শুনে খুশি হয়ে টাকা দিতে হলে তা বারের ম্যানেজারের কাছে জমা দিতে হবে।
হঠাৎ বারের জন্য এই গাইডলাইন কেন? কলকাতা পুলিসের অবসরপ্রাপ্ত এক অফিসার বলছেন, একটা সময় ছিল যখন নিষিদ্ধপল্লিতে অপরাধীদের আনগোনা লেগেই থাকত। ফলে আমাদের সোর্স রাখতে হত। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন এসেছে। এখন শহরের নাইটক্লাব, বার, ডিস্কো থেক কেন্দ্র করেও ঘটছে অপরাধ। পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ থেকে হরিদেবপুরের বারে গুলিকাণ্ড তারই নমুনা। ফলে কলকাতা পুলিসের শীর্ষকর্তাদের মনে হয়েছে, বারে বেআইনি কার্যকলাপ রোখা গেলে অপরাধে লাগাম টানা সহজ হবে। সে কথা মাথাই রেখে বার নিয়ে কড়াকড়ি করতে চলেছে লালবাজার।