দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কলকাতার নগরপাল ট্রাফিকের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। শহরের কোথায় ট্রাফিকের হাল কী, তা নিয়ে নিজে খোঁজখবর নিয়েছেন। ঠান্ডা ঘরে বসে নয়, বাস্তব অবস্থা জানতে নিজেই বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। কোথায় কী অসুবিধা বা ফাঁক রয়েছে এবং কোন কোন জায়গায় আরও উন্নতি দরকার, তা নিয়ে কর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। যান চলাচল ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক রূপরেখা ও কৌশল তৈরি করায় শহরে ট্রাফিকের হাল ধীরে ধীরে ফিরতে ফিরতে শুরু করেছে। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার যে সব রাস্তায় সারাদিন যানজট লেগে থাকত, সেইসব রাস্তায় গাড়ির গতি অনেকটাই বেড়েছে। এমনকী স্কুল শুরু বা শেষের সময়ে বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি আগের মতো আর আটকে থাকছে না। আগেভাগে হোমওয়ার্কের কারণে পুজোর সময় খুব বেশি যানজট হয়নি কলকাতায়।
সপ্তাহে সাতদিনই যাতে স্বাভাবিক যান চলাচল অব্যাহত থাকে, সেই ব্যবস্থাই করতে চাইছে লালবাজার। পুজোর ছুটি কাটিয়ে অফিসগুলি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসায় গাড়ির চাপ বেড়েছে কলকাতায়। তার সঙ্গেই এসে পড়েছে দেওয়ালি ও কালীপুজো। সেই কারণেই সতর্ক পুলিস কমিশনার। যেভাবেই হোক, যান চলাচল মসৃণ রাখতে তৎপর তিনি। তাই ট্রাফিক দপ্তরের কর্তা ও অফিসারদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, গাড়ি যেন স্বাভাবিক গতিতে চলে। সেইসঙ্গে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিসদেরও যেন চোখে পড়ে। তাঁরা যেন সজাগ থাকেন।
এরপরই কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন অফিসাররা। তবে একদিকে টালা ব্রিজ, অন্যদিকে মাঝেরহাট ব্রিজ তাঁদের চিন্তা বাড়িয়েছে। উত্তর কলকাতার যানজট সামলানোই এখন তাঁদের মূল চ্যালেঞ্জ। বুধবার সকাল থেকেই এখানকার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। গাড়ি ঘোরাতে হয়েছে আশপাশের রাস্তা দিয়ে। সংশ্লিষ্ট রাস্তায় হঠাৎ করে বাড়তি গাড়ি এসে পড়ায় যানজট তৈরি হয়েছে সেখানে। যার মোকাবিকা করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাফিকের অফিসারদের। এই অবস্থায় ওই এলাকায় ট্রাফিক কতটা সচল রাখা যাবে, তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত তাঁরা।